হাইকোর্টে প্রতিবেদন: খেলাপি ঋণ ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকা আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আর অবলুপ্ত ঋণের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা পাওয়া যেতেও পারে নাও পারে। সে হিসেবে বর্তমানে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
প্রথমে অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম দুই ভলিউমে সিলগালা করা ঋণ খেলাপিদের তালিকা আদালতে দাখিল করেন।
এদিকে, এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য উভয়পক্ষকে প্রস্তুত হতে বলেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহ পর রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে বিশ বছর ধরে এক কোটি টাকার উপরে ঋণ খেলাপিদের তালিকা, ঋণের পরিমাণ এবং সুদ মওকুফের তালিকা চান আদালত।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণ খেলাপির তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, সিটি ব্যাংকের প্রাক্তন সিইও মামুন রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দুই সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুন ২০১৯/মেহেদী/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন