ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

'ঘুষ কেলেঙ্কারিতে এনামুল বাছিরের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে'

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৮, ২৬ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
'ঘুষ কেলেঙ্কারিতে এনামুল বাছিরের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির সাথে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক এনামুল বাছিরের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।

অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ার পর তাকে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম।  চিঠি দেওয়ার বিষয়টি দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ পরিদর্শক (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পরিচালক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের সত্যতা দুদকের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। ইতিমধ্যে তাকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য তার বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।

এছাড়া চিঠিতে তার নাম ও ঠিকানার বর্ণনা এবং পাসপোর্টের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ জুন ঘুষের কেলেঙ্কারির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশের আলোচিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। পৃথক তলবি নোটিশে তাদেরকে আগামি ১ জুন হাজির হতে বলা হয়েছে। যেখানে এনামুল বাছিরকে ওই তারিখে বিকেলে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোগ করেন পুলিশের সদ্য বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান। মিজান ঘুষ দেয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার পর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন রেকর্ডকৃত বক্তব্যগুলো কণ্ঠ নকল করে বানানো।

এরপর ঘুষের বিষয়টি অনুসন্ধান করার জন্য দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দায়িত্ব দেওয়া হয়। টিমের অপর সদস্য হলেন দুদকের সহকারি পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

২০১৮ সালের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী; পরে এই দায়িত্ব পান এনামুল। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদ। গত ১২ জুন তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এদিকে তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদেরর তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নেসহ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন মামলা করে দুদক। মামলার আসামিরা হলেন- পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান।

একই সাথে ডিআইজি মিজানসহ চার আসামির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক। মামলা করার পর তারা যাতে বিদেশ গমন করতে না পারেন সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপারের বরাবর চিঠি দেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুন ২০১৯/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়