ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

গ্রামীণফোন স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার পর্দা নামল

ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রামীণফোন স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার পর্দা নামল

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন দিনব্যাপী গ্রামীণফোন স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো-২০১৬ শেষ হয়েছে। শেষদিন শনিবার সকাল ১১টায় আয়োজন করা হয় ‘ডিজিটাল কনটেন্ট ও কানেকটিভিটি নিয়ে বিশেষ সংলাপ’ ডিজিটাল কনটেন্ট ও ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। কনটেন্ট ও কানেকটিভিটির প্রসারে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দেন।

 

টেকশহরডটকম, এক্সপো মেকার ও গ্রামীণফোন আয়োজিত এই সংলাপে আলোচক হিসেবে ছিলেন বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ স¤পাদক রেজওয়ানুল হক, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সোনিয়া বশির কবির ও টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সভাপতি রাশেদ মেহেদী। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।

 

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শুধুমাত্র ইন্টারনেট কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বাড়লেই হবে না, প্রয়োজন দেশি কনটেন্ট। আর তাই দেশের কনটেন্ট ডেভেলপারদের ব্যবসায় প্রসারে প্লাটফর্ম দেবে বেসিস। কানেক্টিং স্টার্টআপ, সিডস্টারস ওয়ার্ল্ড, ইনকিউবেটরে জায়গা বরাদ্দ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইইএফ লোন সুবিধা, বিভিন্ন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগসহ তাদের মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব রকমের সুবিধা দেওয়া হবে।

 

গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন জরিপে দেখেছি দেশে এখনো ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। গ্রামীণফোনের হিসেবে স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহারের গ্রোথ এখন ১৯ শতাংশ। আমাদের আসলে ইন্টারনেট পেনিট্রেশন বেড়েছে। এর সঙ্গে কনটেন্টও বাড়াতে হবে।

 

মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সোনিয়া বশির কবির বলেন, আমাদের কাজ করতে হবে মানুষের প্রয়োজন বুঝে। তাই শুধু কনটেন্ট ডেভেলপ করলেই হবে না। এর সঙ্গে অবশ্যই আমাদের কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করতে হবে। তবে আমার মনে হয় টেলিকম অপারেটরদের এই বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।

 

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ স¤পাদক রেজওয়ানুল হক বলেন, অবশ্যই স্মার্ট ডিভাইসের যোগান দিতে হবে আগে। পাঁচ বছর আগে যখন মোবাইল আমদানি করা হতো তখন স্মার্টফোনের পরিমাণ ছিল মাত্র এক শতাংশ। তবে সেই পরিমাণ এখন বাড়তে শুরু করেছে। শুধু ২০১৪ সালে স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ। আর ২০১৫ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০ লাখ। আমরা চেষ্টা করছি খুবই স্বল্পমূল্যে সবার হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার। এই গ্রোথটা অব্যাহত থাকলে আমাদের দেশে চলতি বছরে প্রায় ৯০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি হবে।

 

টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবই আছে। ফাইবার অপটিক ক্যাবল আছে, আছে পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুবিধা। আমাদের একটা ডিজিটাল হাইওয়ে দরকার। এর বাইরে দরকার তা হলো সরকারকে এর বাস্তবায়নে আরো সক্রিয় হওয়া।

 

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে তিন দিনব্যাপী চলে এই মেলা। এক্সপো মেকারের আয়োজনে পঞ্চমবারের মতো রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/ ৯ জানুয়ারি ২০১৬/ইয়ামিন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়