ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১১ জঙ্গির পোস্টার প্রকাশ: একই পরিবারের ৬ সদস্য

বি এম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১১ জঙ্গির পোস্টার প্রকাশ: একই পরিবারের ৬ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর :  যশোর জেলা পুলিশ ১১ জন জঙ্গির পোস্টার প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে চার ভাই-বোনসহ ৬ জন একই পরিবারের সদস্য।

এদের মধ্যে তিন ভাই-বোনকে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ আটক করলেও এরা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়েছেন।

মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এ তথ্য জানান।

পুলিশের প্রকাশিত পোস্টারের জঙ্গিরা হলেন- একই পরিবারের ৬ সদস্য যশোর শহরের পুরাতন কসবা কদমতলা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে তানজিব ওরফে আশরাফুল, তার ভাই তানজির আহমেদ, বোন মাছুমা আক্তার ও মাকসুদা খাতুন, মাকসুদার স্বামী শাকির আহম্মেদ ও মাসুমার স্বামী নাজমুল হাসান।

অপর ৫ জন হলেন- রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর  রোডের ১৭ নম্বর বাড়ির মুসাব্বির ওরফে প্রকাশ ওরফে তন্ময় (৩০) এবং ঢাকার আশকোনা দক্ষিণখান ৪০১ কলেজ রোডের হারেজ আলী (২৭), যশোর মণিরামপুরের জিএম নাজিমউদ্দিন ওরফে নকশা নাজিম, চাঁচড়া বেড়বাড়ি এলাকার মহিউদ্দিন এবং শার্শার মেহেদি হাসান ওরফে জিম ওরফে হুসাইন।

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযুবত তাহরীরের এই ১১ সদস্যের সন্ধান চেয়ে এ পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্টারে স্থান পাওয়া ১১ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে।

 

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আরও জানান, যশোর শহরের পুরাতন কসবা কদমতলা এলাকার মিসরপ্রবাসী আবদুল আজিজের ছেলে হিযবুত তাহরীরের আঞ্চলিক কমান্ডার তানজিব ওরফে আশরাফুলের (২০) বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ওই ১১ জনের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে।  

জঙ্গিদের সন্ধান চেয়ে যশোর পুলিশের পক্ষ থেকে পোস্টার ছাপানো হয়েছে। উল্লিখিত একই পরিবারের ছয় জঙ্গির মধ্যে তানজিব হিযবুত তাহরীরের মোশরেক পদে আছেন। বাকিরা একই সংগঠনের কর্মী।

আশরাফুলের দুই ভগ্নিপতি এবং ঢাকা থেকে হারেজ ও মুসাবির নামে আরও দুজন প্রশিক্ষক ওই বাড়িতে হিযবুত তাহরীরের সদস্যদের প্রশিক্ষক দিতেন। জঙ্গি সংশ্লিষ্ট পরিবারের চার ভাই-বোনের মধ্যে তানজিব, তানজির ও মাছুমাকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালতে সরকারি কৌসুলি জামিন আবেদনের বিরোধিতা না করায় তাদেরকে জামিন দেওয়া হয়েছে।  

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, তানজীব ওরফে আশরাফুল, তানজীর ও মাছুমাকে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। কিন্তু আদালতে সরকারি কৌসুলি (পিপি) রফিকুল ইসলাম পিটু ও বিশেষ সরকারি কৌসুলী (এপিপি) ইদ্রিস আলী জঙ্গিদের জামিন আবেদনে বিরোধিতা করেননি। গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর তানজিবকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সরকারি কৌসুলি তার জামিনের বিরোধিতা না করায় আদালত গত মে মাসে তাকে জামিন দেন।

একইভাবে তানজিবের ভাই তানজির আহমেদ ও বোন মাছুমা আক্তারকেও একটি ল্যাপটপসহ আটক করে পুলিশ। এই দুটি মামলাতেও সংশ্লিষ্ট সরকারি কৌসুলিরা জামিনের বিরোধিতা না করায় আদালত তাদের জামিন দিয়ে দেন। তিনজনই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

জঙ্গির পক্ষে সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু তোরাব মোহাম্মদ হাসান প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। সেই প্রত্যয়নপত্র আদালতে উপস্থাপন করে একজন জামিন নিয়েছেন। এ বিষয়গুলো তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আরও জানান, এটি যশোর পুলিশের দ্বিতীয় জঙ্গি তালিকা। পুলিশ এদের আটকের জন্য তৎপর রয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/যশোর/৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬/বি এম ফারুক/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়