ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভালোবাসা দিবসের রকমফের

আসিয়া আফরিন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভালোবাসা দিবসের রকমফের

প্রতীকী ছবি

আসিয়া আফরিন চৌধুরী : আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুযায়ী দিবসটি পালন করা হচ্ছে। তবে সবদেশে একইভাবেই নয়, অনেক দেশ পালন করছে নিজস্ব সংস্কৃতি অনুযায়ী।

উদাহরণস্বরূপ, জাপানে ভালোবাসা দিবসে নারীরা পুরুষদের কাছ থেকে কোনো উপহার গ্রহণ করেন না বরঞ্চ নারীরাই প্রেমিকদের উপহার দেন। এবং একমাস পরে অর্থাৎ ১৪ মার্চ প্রেমিক প্রতিদানে আরেকটি উপহার প্রদান করেন। যা তাদের কাছে ‘হোয়াইট ডে’ নামে পরিচিত।

সাউথ আফ্রিকাতে ভালোবাসা দিবসে নারীরা তাদের প্রিয়জনের নাম লিখে তাদের জামার হাতায় পিন করে রাখেন।

অপরদিকে জার্মানিতে শুকরছানা হল কামুকতার প্রতীক। তাই ভালোবাসা দিবসে কার্ড কিংবা গিফট বক্সে এই প্রতীকটির উপস্থিতি দেখা যায়।

ফিনল্যান্ড ও এস্তোনিয়াতে ১৪ ফেব্রুয়ারি হল আসলে বন্ধুদিবস। এদিকে বন্ধুরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে।

সৌদি আরবে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ভালোবাসা দিবস। প্রকাশ্যে ভালোবাসা প্রকাশ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কেউ যদি প্রেয়সীকে একটি গোলাপ দিতে চান তাকে ছুটতে হবে কালোবাজারে। সম্প্রতি পাকিস্তানেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভালোবাসা দিবস উদযাপন।

ইরাকে ভালোবাসা দিবসের প্রতীক লাল। সবকিছুতেই লাল রঙের প্রাধান্য। বিশালাকার টেডিবিয়ার,  চকোলেট, বেলুন, গোলাপ উপহার অগ্রাধিকার পায় এ দিনে। ইরাকি প্রেমিক যুগলরা পার্কে ঘুরতে ভালোবাসেন এবং সেইখানেই উপহার বিনিময় করেন।

ফিলিপাইনে কাপলরা মনে করেন এই দিনটি গাট বাঁধার জন্য সবচেয়ে ভালো দিন। তাই গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। অনেক সময় সরকারি উদ্যেগেই এই আয়োজন করা হয়।

ঘানায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় চকলেট’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। মূলত টুরিজমকে এগিয়ে নেয়াই মূল উদ্দেশ্য।

বুলগেরিয়াতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ওয়াইমেকার ডে’। প্রেমিকযুগল একসঙ্গে দিনটি উদযাপন করে। আর যারা  একা আছেন তারা দুই গ্লাস ওয়াইন নিয়ে নিজেকে চিয়ার্স করেন।  

ডিয়া ডস নেমারোডস অর্থাৎ ‘প্রেমিক প্রেমিকাদের দিন’ হিসেবে ১২ জুন পরিচিত ব্রাজিলীয়দের কাছে। সিঙ্গেল নারীরা কিছু প্রথা পালন করেন একজন ভালো সহধর্মী পাওয়ার জন্য।

চিনে লুনার ক্যালেন্ডারের সপ্তম মাসের সপ্তমদিনে ‘কিক্সি ফেস্ট’ পালিত হয়। চিনা রুপকথার তাঁতী কন্যা আর রাখাল বালক, যারা দুজন দুজনকে না পেয়ে সিলভার নদীতে আত্মহুতি দেয়, তাদের মনে করে দিনটি পালিত হয়।

তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়