ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সকাল ৬টায় জেগে ওঠার ছয় কারণ

আসিয়া আফরিন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৪১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সকাল ৬টায় জেগে ওঠার ছয় কারণ

প্রতীকী ছবি

আসিয়া আফরিন চৌধুরী : অনেকেই জীবনের উন্নতির সঙ্গে সকালে ঘুম থেকে ওঠার বিষয়টিকে উল্লেখ করেন।

ব্লগার এগহোসা আহহাই দুই বছর ধরে সকাল ৬টায় বিছানা ছাড়েন এবং তিনি দাবি করেন, এই অভ্যাস তার জীবন বদলে দিয়েছে।

এগহোসা ছয়টি কারণ দেখিয়ে সকালে জেগে ওঠার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। সুফল সম্পর্কে জেনে আপনিও হতে পারেন ভোরের পাখি।

* লুকানো নিজেকে আবিষ্কারের সময় পাওয়া যায় : অনেকেই নিজের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের কেন্দ্রবিন্দু ঠিক করতে পারেন না বলে তারা লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন না। আপনি সহজেই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবেন যদি না আপনি দ্রুত চিন্তা করতে না পারেন যে, জরুরিভাবে কোনটি আপনার আগে করা প্রয়োজন।

এটা সবারই জানা যে, মানুষের মস্তিষ্ক দিনের প্রথম ভাগে বেশি কাজ করে। তাই এই সময়টা ব্যবহার করুন আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণে নিতে।

* দিনের কর্মসূচি তৈরির সময় পাওয়া যায় : ভোরের পাখিরা কাজে যাওয়ার আগেই দিনের পরিকল্পনা করার সুযোগ পায়। যত আগে আপনার দিনের কর্মসূচি তৈরি হয়ে যাবে, আপনি তত কার্যকরভাবে এবং লাভজনকভাবে দিনটি পার করতে পারবেন। আগামী দিন আপনি কী করবেন, তা যদি বিকেলে নির্ধারণ করেন তাহলে তা খুব একটা সুফল বয়ে আনবে না। কারণ দিনের শেষ ভাগে মস্তিষ্ক থাকে ক্লান্ত, যা বিশ্রামই নিতে চাইবে।

* আত্মোন্নতির জন্য সকালটাই উত্তম : কে বলেছে সকালে উঠেই অফিসের জন্য আপনাকে দৌড়ঝাঁপ করতে? অনেকেই বলেন তাদের কাছে পরিবার, বিনোদন, ব্যায়াম করার জন্য সময় নেই। কিন্তু আপনি যদি সকাল ৬টায় বিছানার মায়া ত্যাগ করতে পারেন তাহলে দিনের কাজ শুরু করার আগে ব্যায়াম করে নিতে পারেন। যখন আপনি সকালে ব্যায়াম করবেন তখন আপনার শরীর সারা দিন ঝরঝরে থাকবে।

* সকালে নাশতা করার সুযোগ পাবেন : আপনি আপনার জীবনে অনেকবারই শুনেছেন যে, সকালের নাশতা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। যদি কাজে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে আপনি নাশতা করার সুযোগ পাবেন।

জন হপকিন ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে সঠিকভাবে নাশতা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক। গাড়ির জন্য যেমন গ্যাস তেমনি শরীরের জন্য খাদ্য, বিশেষ করে সকালের।

* সফল ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই এটি রপ্ত করেছেন : নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনের একটি আর্টিকেলে টুইটার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি বলেন, তার দিন শুরু হয় সকাল ৫.৩০ এ। কর্মজীবন শুরু করার আগের এই সময়টা তিনি ব্যবহার করেন মেডিটেশন ও ১০ কিলোমিটার হেঁটে। অ্যাপলের সিইও টিম কুক, তার দিন শুরু হয় ৪. ৩০ এ। ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্যারেন্সন। তার দিন শুরু হয় সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে। ‘বিজনেস ইনসাইডার’ এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন ৫.৪৫ এ তিনি ঘুম থেকে ওঠেন।

* আপনি সবার চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে থাকবেন : গবেষকরা দেখিয়েছেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আপনার সৃষ্টিশীল ক্ষমতাকে ছড়িয়ে দেবে। তা ছাড়া এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আপনি তখন কাজ শুরু করবেন যখন আপনার প্রতিপক্ষ ঘুমাচ্ছে।

ব্লগার এগহোসা আহহাই বলেন, ‘আগে আমি সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘুমাতাম। এখন আমি আমার নতুন অভ্যাসে অনেক এনার্জি পাই এবং সারা দিন পর মনে হয় আমি আমার কাজ সঠিকভাবে করতে পেরেছি।’

আপনি যদি আপনার দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে ওঠার প্রশিক্ষণ নিজেকে দেন তাহলে আপনি প্রতিদিন ১৫০ মিনিট বেশি পাবেন। এবং সপ্তাহে সাড়ে ১৭ ঘণ্টা, মাসে ৭০ ঘণ্টার বেশি ও বছরে ৮৪০ ঘণ্টা বেশি পাবেন। এখন পছন্দ আপনার।

তথ্যসূত্র : লিফটার

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/আসিয়া/ফিরোজ/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়