ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মোবাইল ব্যবহারের আদবকেতা

আফরোজা জাহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ২৬ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মোবাইল ব্যবহারের আদবকেতা

প্রতীকী ছবি

আফরোজা জাহান : মোবাইল ফোন, জিনিসটা ছাড়া বর্তমানে আমাদের অনেকের জীবন অপূর্ণ লাগে। অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়াকে নতুন এক আঙ্গিকে নিয়ে গেছে এটি।

নানা বয়সীর মানুষের প্রতিদিনের অনিবার্য এই অনুষঙ্গ ব্যবহারেরও রয়েছে কিছু আদবকেতা। মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্ব। আসুন জেনে নেই মোবাইল ফোন ব্যবহারের কিছু আদবকেতা|

রিংটোন

বলা হয়ে থাকে মোবাইলের শুধু রিংটোন শুনেও অন্যের রুচি সম্পর্কে এক ধরনের ধারণা পাওয়া যায়। তার মানে রিংটোন এমন এক বিষয়, যার মাধ্যমে কেউ আমাদের অপরিচিত হয়েও আমাদের রুচি জানতে পারে বেজে উঠা রিংটোন থেকে।

এটা ঠিক যে, প্রতিটি মানুষ তার পছন্দ অনুসারে তার ফোনের রিংটোন ঠিক করে। গান, কবিতা, শুধু সুর রিংটোন হিসেবে যার যার পছন্দ মতো দেয়। কিন্তু রিংটোন হিসাবে সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে সুর। তারপরও গান বা কবিতা ব্যবহার করলে হালকা সুরের গান ব্যবহার করুন। এমন গান বা কবিতা ব্যবহার করবেন যা অন্যের বিরক্তির কারণ আর আপনি হাসির পাত্র হবেন।

কথা বলুন আস্তে, ধীরে

ফোনে কথা বলার সময় গলার স্বর নমনীয় রাখুন। ঘরে যেভাবেই কথা বলুন না কেন, জনসমক্ষে- হোক তা দাওয়াতে, মিটিংয়ে বা বাসে আস্তে ধীরে কথা বলুন। জনসমক্ষে ফোনে জোরে কথা বলা, হাসা, ঝগড়া করা আপনার সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি করবে।

ভাষার সঠিক ব্যবহার

জনসমক্ষে কথা বলার সময় কোনো প্রকার অশালীন শব্দ ব্যবহার করবেন না। অনেকেই বন্ধু বা প্রিয়জনকে কথায় কথায় গালি দিয়ে কথা বলে। এ অভ্যাস ত্যাগ করুন। শুধু ফোনে না সকল ক্ষেত্রেই এই বাজে অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।

তাছাড়াও অনেকেই যেই কল দিক না কেন আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। সেক্ষেত্রে পরিবার, কাছের বন্ধু ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে মোবাইলে আঞ্চলিক ভাষায় কথা না বলাই উত্তম। অনেকে আপনার বলা আঞ্চলিক কথা না বুঝে কথার ভুল ব্যাখ্যা করতে পারেন। তাই ভাষা ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত।

আবদ্ধ স্থানে কথা বলা

আবদ্ধ স্থানে মোবাইলে কথা খুব প্রয়োজন ছাড়া কথা না বলাই উত্তম। যেমন- লিফট, ওয়াশরুম, সরু সিড়িতে কথা না বলে প্রয়োজন থাকলে এসএমএস (খুদে বার্তা) দিন।

লাউড স্পিকারের কথা বলা

জনসমক্ষে স্পিকার অন করে কথা বলবেন না। এটা খুবই বিরক্তির ব্যাপার অন্যদের কাছে। শুধু এটা নয় অনেকেই জোরে সাউন্ড দিয়ে লাউডস্পিকার এ গান শুনেন। এটা অভদ্রতা। মোবাইলে এভাবে গান না শুনে হেডফোন ব্যবহার করুন।

গুরুত্বপূর্ণ আলাপে

অফিসের মিটিং হোক বা কারো সঙ্গে আলাপ, চেষ্টা করুন ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখতে। সাইলেন্ট মোডে রাখতে না চাইলে ভাইব্রেশন দিয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু ভুলেও রিংটোন এর সাউন্ড দিয়ে রাখবেন না। কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জরুরি কথার মাঝে যা বিষফোড়ার মতো হয়ে উঠবে।

মিটিং বা আলাপের সময় কোনো কল আসলে বা কল করার দরকার হলে যার সঙ্গে আলাপ করছেন তার অনুমতি নিন। মোবাইলের কাজ শেষ হলে এর কারণে দুঃখপ্রকাশ করলে আপনার প্রতি অন্যের মনোভাব সমৃদ্ধ হবে।

ব্যক্তিগত কথা

জনসমক্ষে ব্যক্তিগত আলাপ করা বোকামি। ব্যক্তিগত সমস্যা, গোপনীয় ব্যাপার আলাপ করা থেকে বিরত থাকুন। খুব দরকার হলে অন্যের কাছ থেকে কিছু দূরত্ব রেখে ধীরে আলাপ করুন।

বিশেষ স্থানগুলোতে

উপাসনালয়, শ্রেণীকক্ষে, লাইব্রেরি, হাসপাতাল, জাদুঘরে প্রবেশের সময় মোবাইল বন্ধ রাখুন, নয়তো সাইলেন্ট মোডে। এখানেও খুব দরকার হলে ভাইব্রেশন দিয়ে রাখুন। এসব স্থানে সচেতনহীনতা আপনার জ্ঞানের ঘাটতি প্রকাশ করবে।

দিন কে দিন মোবাইল ফোন প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার আপনাকে করে তুলবে আরো রুচিশীল আর স্মার্ট। তাই সাধারণ এসব আদবকেতায় সচেতন হোন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়