ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফ্যাশনেবল গাউনে স্টাইলিশ ঈদ

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১২, ৬ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফ্যাশনেবল গাউনে স্টাইলিশ ঈদ

বাহুবলি গাউন দেখাচ্ছেন বসুন্ধরা সিটির ফ্যাশন প্যালেসের বিক্রেতা

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর : ধানমন্ডির স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আফসানা রুবি বসুন্ধরা সিটিতে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করার জন্যে। বাসা থেকে বের হয়েছেন কামিজ কেনায় মনস্থির করে। কিন্তু দোকানে এসে পছন্দ করে কিনে নিলেন একটি গাউন। কথা হলো তার সঙ্গে।

তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কয়েকটা দোকান ঘুরে বুঝতে পারলাম এ বছর ঈদে কামিজের পরিবর্তে গাউনটাই বেশি চলছে। আর এর ডিজাইগুলোও বেশ চমৎকার। দামটাও নাগালের মধ্যে হওয়ায় কামিজের পরিবর্তে গাউনটাই নিয়ে নিলাম।’


ঈদ বাজার ঘুরে এবং ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদে কামিজের পরিবর্তে গাউনের চাহিদাটাই বেশি। নীলের বিভিন্ন শেড, সাদা, কালো, গোলাপী, বেগুনি রঙের কাপড়ের ওপর ভরাট এবং হালকা কাজ করা গাউনগুলোই বেশি রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়। বিদেশি ধাচের এই পোশাকগুলোতে বৃষ্টির গুমোট আবহাওয়া কাটাতে এগিয়ে এসেছে উজ্জ্বল রঙগুলো। এছাড়া প্রিন্টের পরিবর্তে হাতের কাজই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে নতুন ডিজাইনের গাউনগুলোতে।

এ লাইন, হেম লাইনে এসে সামনে-পেছনে উঁচু-নিচু ও দুই পাশে ঝুলে গেছে, বডি হাগিং, হাফ বডি স্টাইল, এক ছাঁটের গাউন ইত্যাদি কাট প্রাধান্য পাচ্ছে ক্রেতাদের পছন্দে। কম বয়সিদের কথা মাথায় রেখে লিনেন কাপড়ের ব্যবহারও করা হয়েছে। গরমের কথা চিন্তা করে ছোট হাতা কিংবা হাত কাটা রাখা হয়েছে বেশি। তবে আছে লম্বা হাতাও। শিফন, জর্জেট, নেট, নরম ক্রেপ সিল্ক, লিনেনের তৈরি গাউনগুলোই জমিয়ে রেখেছে এবারের ঈদ বাজার। আর এগুলো পরে বেশ আরামও পাওয়া যাবে গরমের এই সময়টাতে।


মিক্সড প্যাটার্নে ও ট্রপিক্যাল মোটিফে তৈরি শিফনের মেঝে ছোঁয়া গাউনও রয়েছে কিছু ফ্যাশন হাউজে। তবে ক্রেতাদের নজর সবচেয়ে বেশি বাহুবলিতে। গরম এবং বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের ওপর হালকা কাজ এবং সম্পূর্ণ কাজ করা বিভিন্ন কাটের বাহুবলি গাউন পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। রয়েছে আলাদা এবং অ্যাডজাস্ট করা ওড়নাও।

তবে বাহুবলি-টু সিনেমায় নায়িকা কোনো গাউন না পরলেও এই গাউনের নাম কেন বাহুবলি গাউন, তা জিজ্ঞেস করা হলে বসুন্ধরা সিটির ফ্যাশন প্যালেসের কর্মকর্তা মনোয়ার আলী বলেন, ‘পোশাকের এই নামগুলো সাধারণত রাখা হয় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য। তবে বিভিন্ন সময়ে এই নামগুলো দেশের বাইরে থেকেই নামকরণ হয়ে আসে।’


নামে যাই হোক না কেন, পাতলা কাপড় দিয়ে তৈরি হালকা ওজনের গাউনগুলো আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের অংশ হলেও এবার তা জায়গা করে নিয়েছে আমাদের দেশিয় কাটছাটে।

এছাড়াও বাজারে আরো রয়েছে ক্যাপ গাউন, ওয়েস্টার্ন গাউন, ওড়না অ্যাডজাস্ট জর্জেট গাউন, ভায়োলেট, লাসা, সোয়াগাত, গ্লামারিয়র, আশীর্বাদ, নাগিন এবং এলটি। তবে এগুলোর মধ্যে বেশি চলছে লাসা এবং ক্যাপ গাউন। আর এর সঙ্গে স্টাইলিশ পালাজ্জো। আর এর সবগুলোই আপনি পাবেন মোটামুটি পাঁচ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ জুন ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়