ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঢাকায় ঢাকের শব্দে পূজার আয়োজন

ঝুমকি বসু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঢাকায় ঢাকের শব্দে পূজার আয়োজন

প্রতীকী ছবি

ঝুমকি বসু : বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ট থেকে দশম দিন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই পূজা। একে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের সূচনা হয় মহালয়া দিয়ে। দুর্গাষষ্টী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়াদশমী মোট এই পাঁচ দিন চলে পূজার আয়োজন।

দুর্গাপূজা মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও বাংলাদেশে এটি সার্বজনীন উৎসব হিসেবেই পালিত হয়েছে বহু যুগ ধরে। এ বছর রাজধানী ঢাকাতে বিভিন্ন মঠ ও মন্দির মিলিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রায় ২৩১টি পূজা। ঢাকার কোথায় কোথায় দেখতে পারেন পূজা, চলুন জেনে নেওয়া যাক এবার। 

ঘটা করে দুর্গাপূজা হয় রমনা কালী মন্দিরেও। বর্তমানে এ মন্দিরে কালী মূর্তি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি মন্দির রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো- দুর্গা মন্দির, লোকনাথ মন্দির, রাধাগোবিন্দ মন্দির, মা আনন্দময়ীর মন্দির। এই মন্দিরটি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ধ্বংস করে ফেলে। দুর্গাপূজার সময় এখানে অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করে পূজা করা হয়। উল্লেখ্য, মোঘল আমলের শেষ দিকে মোঘল সেনাপতি মান সিংহের সহযোগিতা ও বার ভূঁইয়ার অন্যতম কেদার রায় এর অর্থে শাহবাজ মসজিদের উত্তর দিকে হরিচরণ গিরি ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন কৃপা সিদ্ধির আখড়া যা পরবর্তীতে ভদ্রাকালীবাড়ি এবং পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হয় রমনা কালী মন্দির হিসেবে। ১৮৫৯ সালের ঢাকার এক মানচিত্রে মন্দিরটিকে কৃপাসিদ্ধির আখড়া নামে অভিহিত করা হয়েছে। ঐতিহাসিক যতীন্দ্রমোহন রায়ের তাঁর ‘বিবরণ’ নামের একটা বইতে মন্দিরটির বেশ ভালো একটা বর্ণানা দিয়ে গেছেন, তিনি লিখেছেন- ১২টি সিঁড়ি বেয়ে মন্দিরের বারান্দায় উঠতে হতো। বারান্দার মধ্যখানে কাঠের সিংহাসনে ছিল লাল পাড়ের শাড়ী পরা স্বর্ণ মনি-মুক্তার অলঙ্কারে ভূষিত কষ্ঠি পাথরের কালীক ও ভদ্র কালী মূর্তি। এই কালীমূর্তিটি বিক্রমপুরাধিপূত চাঁদরায়ের প্রতিষ্ঠিত বলে জনশ্রুতি আছে।

পুরোনো ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলো পূজা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শাঁখারি বাজারের পূজা। মন্দির ছাড়াও এখানে রাস্তার দুপাশে অস্থায়ী মণ্ডপ তৈরি করে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজার সময় পুরো এলাকার রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পূজা উপলক্ষে ওই এলাকায় বসে মেলা। মেলায় মাটির খেলনা, প্রসাধনী, মণ্ডা-মিঠাইসহ পাওয়া যায় বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার। শাঁখারিবাজার ছাড়াও পুরনো ঢাকার তাঁতিবাজার, সুত্রাপুরের পূজাও খুব জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়।

এছাড়াও চাইলে ঘুরে দেখতে পারেন সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, জগন্নাথ হল, লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, ব্রাহ্মসমাজ মন্দির, রায়েরবাজার আখড়া মন্দির, জয়কালী মন্দিরের পূজা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়