ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বেনাপোলে ৫ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বেনাপোলে ৫ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থল বন্দরে টানা পাঁচ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।

বেনাপোল স্থল বন্দরের ভারতের অংশে পেট্রাপোল বন্দরে কারপাসসহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের ‘হয়রানি’র প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধর্মঘট চলছে। যার তীব্র নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমদানি-রফতানিতে।

ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী মোবাইল ফোনে জানান, পেট্রাপোল কাস্টমসের নতুন সুপারিনটেনডেন্ট যোগদান করার পর থেকে নানা হয়রানি শুরু হয়েছে। তিনি নানা অজুহাত রফতানিকারকদের হয়রানি করছেন। বাংলাদেশে দ্রুত পণ্য রফতানি করার জন্য আগে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীরা কাস্টমস অফিসারে মাধ্যমে মেনিফেস্ট তৈরি করার পর কার পাস (গেট পাস) ইস্যু করতেন। হঠাৎ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশনা জারি করে যে, তারা নিজেরাই কার পাস ইস্যু করে রফতানি পণ্য বাংলাদেশে ঢোকাবেন। এ ধরনের নির্দেশনায় পণ্য রফতানিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

‘রফতানি পণ্যের কোনো কাগজপত্র না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো কার পাস ইস্যু করতে পারেনি। যার কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।’

তিনি আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। রোববার সরকারি ছুটি থাকায় আলোচনা হয়নি। আজ সোমবার সৃষ্ট বিষয়ের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এখানো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, ভারতে কার পাস জটিলতাসহ অন্যান্য কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা পাঁচ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এই পাঁচ দিনে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের অনেক আমদানিকারকের পণ্যচালান পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে। সেই সঙ্গে রফতানির জন্য আসা শত শত ট্রাক সীমান্তে পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব পণ্যচালানের মধ্যে গার্মেন্ট শিল্পের অনেক কাঁচামাল রয়েছে। অনেকের শিপমেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক আছে। আমদানি-রফতানি সচল হলে গোটা বন্দর এলাকায় পণ্যজটের পাশাপাশি যানজটও প্রকট আকার নেবে।



রাইজিংবিডি/যশোর/২৯ জানুয়ারি ২০১৮/বি এম ফারুক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়