ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিজেএমসি বন্ধ হওয়া উচিত’

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৫, ৭ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিজেএমসি বন্ধ হওয়া উচিত’

বিশেষ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে সরকারি লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) এমনই একটি প্রতিষ্ঠান। এটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

বুধবার সচিবালয়ে অর্থ বিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির স্মরণিকা ‘প্রয়াস’এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় অর্থসচিব মুসলিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

গত সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আলোচনা সভায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘পাট নিয়ে অর্থমন্ত্রী নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। অর্থমন্ত্রীর এ নেতিবাচক মনোভাবের প্রভাব অর্থ মন্ত্রণালয়েও পড়েছে। ফলে পাটের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

পাট প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। সুতরাং এটার ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অসুবিধা যেটা আমাদের হয়, পাটকে আমরা রিভাইস করতে চাই। পাটের একটা নতুন বাজারও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু রিভিশনের প্রক্রিয়াটা আমার ভালো লাগছে না।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় ওল্ড বিজেএমসির এক্সিসটেন্সের কোনো প্রয়োজন নেই বলে আমি মনে করি। আমি তাদের (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়) বলেছি, বিজেএমসির কোনো জায়গা নেই এই নতুন ব্যবস্থায়।’

এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ইউনুসুর রহমান বলেন, স্যার, আপনি (অর্থমন্ত্রী) তো সম্প্রতি পলিসি সাপোর্ট দিয়েছেন। যেটা আমার মাধ্যমে হয়েছে। কাঁচা পাটের ব্যবসা এক সময় বন্ধ করে দিয়েছিল, আপনি পলিসি সাপোর্ট দিয়ে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। তারপরও এই মন্তব্যটা দুঃখজনক।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পাটে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট কত আছে? ইনিশিয়ালি যখন বিজেএমসি হলো তখন কয়েক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রত্যেক বছর ৪০০-৫০০ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা আনস্যাটিসফাইড, হাঙ্গার ফর মানি।

পাট খাতকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম পরামর্শ কী? এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ফার্স্ট পরামর্শ অ্যাবোলিশ দি বিজেএমসি। দ্যাট উইল বি গুড ফর দ্য জুট সেক্টর।

এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব মুসলিম চৌধুরী বলেন, বিজেএমসির সিজনাল কর্মচারী থাকার কথা ৫০ শতাংশ, আর ৫০ শতাংশ স্থায়ী। ওরা ৯০ শতাংশ স্টাফকে স্থায়ী করে ফেলেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, (বিজেএমসির) ম্যানেজমেন্ট ইজ হরিবল অ্যান্ড দ্যাটস হোয়াই আই ডিজলাইক দেম।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ মার্চ ২০১৮/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়