ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ৫ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ : ঈদ যত এগিয়ে আসছে ততই গোপালগঞ্জে জমে উঠছে ঈদের বাজার। পরিবার-পরিজনদের জন্য পোশাক কিনতে বাজারে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বাজারে নানা ডিজাইনের পোশাক থাকলেও দেশি ও ভারতীয় কাপড়ের পোশাকই দখল করে নিয়েছে ঈদের বাজার। এবারের ঈদে পোশাকের দাম গত বছরের থেকে বেশি, ক্রেতারা এমন অভিযোগ করলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, অত্যাধুনিক ডিজাইনের পোশাক আনায় দামও একটু বেশি পড়ছে।

জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে নতুন পোশাক দিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপণী-বিতানগুলোতে ছুটছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আয়ের সাথে মিল রেখে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। তবে প্রতিটি দোকানে পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্যা বেশি। শুধু বড়রাই নয়, পছন্দমতো পোশাক কিনতে শিশুদের নিয়ে দোকানে ভিড় করছেন মা-বাবা।

এবারের ঈদে নতুনত্বের ছোঁয়া এসেছে বাজারে। দোকানগুলোতে রাখা হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইনের নানা রঙের পোশাক। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে তৈরি পোশাকের বিপণী বিতানে রকমারি পোশাক শোভা পাচ্ছে। এসব পোশাকের পাশাপাশি নিত্যনতুন জুতা-স্যান্ডেলের প্রতি চাহিদা রয়েছে ছেলে-মেয়ে উভয়ের। তবে দামের দিক থেকে কিছুটা সাশ্রয় আর আরামদায়ক হওয়ায় এসব ক্রেতার প্রথম পছন্দ দেশি সুতি পোশাক।

এবারের ইদে বিক্রেতারা নতুন ডিজাইনের অজুহাত দেখিয়ে পণ্যের দাম ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছেন বলে অনেক ক্রেতার অভিযোগ। বাড়তি দামের কারণে ছেলে-মেয়েদের চাহিদা পূরণ করতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
 


এবারের ঈদে বাজারে নরমাল, নবাব, প্রিন্ট, বুটিক ও হাতের কাজ করাসহ বাহারি ডিজাইনের নানা বৈচিত্র্যের পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঈদ উৎসবে অন্যান্য পোশাকের সাথে থাকা চাই পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির পাশাপাশি তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ফিটিং হাফ শার্ট, ফুল শার্ট, শর্ট পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, চায়না গ্যাবাডিন, ফরমাল প্যান্ট, টি-শার্ট, ফরমাল শার্ট, শেরোয়ানি।

অন্যদিকে, মেয়েদের জন্য নামি-দামি ঈদের পোশাকের ছড়াছড়ি রয়েছে বড় বড় বিপণীগুলোতে। এবারের ঈদে মেয়েদের চাহিদার মধ্যে ল্যাহেঙ্গা, লং, ফ্লোটার্স প্রকার ভেদে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরম আর দামের দিক থেকে কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ায় ক্রেতাদের প্রথম পছন্দই দেশি সুতি থ্রি পিস, জামদানি, টাঙ্গাইল ও সুতি জামদানি শাড়ির।  শুধু বড়রাই নয়, পছন্দমতো পোশাক কিনতে মা-বাবার সাথে দোকানে ভিড় করছে শিশুরাও। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে অনেকে বেল্ট, নানা রঙের জুতা-স্যান্ডেল, জুয়েলারি ও কসমেটিক্সও কিনছেন।

শহরের থান কাপড় ও গার্মেন্টসের দোকানগুলোতে লেগে রয়েছে উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। ক্রেতারা বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখে-শুনে কিনছেন পোশাক। দর্জিপাড়ায়ও যেন ফুসরত নেই কারিগরদের। দিন-রাত পোশাক বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যেকোনোভাবেই ঈদের আগে পোশাক তৈরি করে ডেলিভারি করতে হবে তাদের।

ঈদে নতুন পোশাক কিনতে আসা ক্রেতা তন্নী ইসলাম, আফরোজা খানম, আহম্মেদ রিজভী, হাসিব মুন্সি  জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাকের দাম একটু বেশি। গত বছর যে থ্রি পিসের দাম ছিল ১ হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা এ বছর সেই থ্রি পিসের দাম ১৭শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। একই পোশাক একেক দোকানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে নতুন পোশাক কিনতে গিয়ে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে দরদাম করে পোশাক কিনতে হচ্ছে।

বিক্রেতা জারা ফ্যাশনের মো. তরিকুল ইসলাম কামাল, শেখ তরিকুল, মাকালী গার্মেন্টসের নিখিল চন্দ্র সাহা জানান, এ বছর গরম পড়ায় সুতি পোশাকের কদর রয়েছে। অন্যান্যবারের তুলনায় বিক্রিও বেশি হচ্ছে। ডিজাইনের কারণে মোকামে এ বছর পণ্যের দাম একটু বেশি। তাই বেশি দামে কেনায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ক্রেতারা বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখে-শুনে কম দামে পণ্য কিনচ্ছেন।




রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/৫ জুন ২০১৮/বাদল সাহা/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়