ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অনলাইন কেনাকাটায় সুবিধা এবং সতর্কতা

মুন্নি খানম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২২, ১১ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অনলাইন কেনাকাটায় সুবিধা এবং সতর্কতা

মুন্নি খানম : সময় থেমে নেই। প্রযুক্তিও এখন অনেক এগিয়ে। বর্তমান প্রযুক্তি এখন আরো সমৃদ্ধ, উন্নত। ফলে ভিড় ঠেলে ঈদের কেনাকাটা করার দিন শেষ। বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে কেনাকাটার সুযোগ। ঠিক আপনার যেমন পছন্দ সেই অনুযায়ী পণ্য পেয়ে যাবেন ঘরে বসে। শুধু মাউসের ক্লিকে পণ্য পছন্দ করে অর্ডার দেয়ার অপেক্ষা।

হাজারো ব্যস্ততার ভিড়ে হাতে সময় বাঁচিয়ে কেনাকাটার জন্য দোকানে যেতে হবে না আপনাকে। আপনি চাইলে কাজের ব্যস্ততার মধ্যে এক ফাঁকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমগুলো আরো বেশি উন্নত ঝামেলাবিহীন। মূল্য পরিশোধেরও নেই কোনো ঝামেলা। ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে খুব সহজেই মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব। চাইলে পণ্য হাতে পেয়েও মূল্য পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকল বয়সের সকল মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য থাকছে অনলাইন শপিংগুলোতে। ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছাড়াও আপনার ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র থেকে শুরু করে যেকোনো জিনিস যেমন- মাছ, মাংস, সবজি থেকে শুরু করে টিভি, ফ্রিজ, গাড়ি, শাড়ি, থ্রিপিছ, টুপি, আতর, জায়নামাজ, বইসহ আরো অনেক কিছু। আর তাই সুবিধাপ্রিয় মানুষগুলো অনলাইনে ঝুঁকে পড়ছেন।

এর মাধ্যমে বেকারত্বও দূর হচ্ছে। একদিকে যেমন মানুষের উপকার হচ্ছে অন্যদিকে ব্যবসার মাধ্যমে ক্যারিয়ার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। এরই মধ্যে কেউ কেউ ফেসবুকে পেজ বা গ্রুপ খুলে ব্যবসা করছেন। আবার কেউ কেউ বড় পরিসরে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছেন।বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসের (বেসিস) তথ্য অনুযায়ী দেশে অনলাইন শপের সংখ্যা বেড়ে এখন প্রায় দুই হাজার বা তারও বেশি রয়েছে এবং অনলাইনে শপিং করা মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ বা ১৩ লাখ। প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে দেশে প্রতিবছর লেনদেন হয় ২০০ কোটি টাকারও বেশি।অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলোর কেনাবেচা হয়ে থাকে বিভিন্নভাবে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি পণ্য বিক্রয় করতে চান সেটি নতুন কিংবা পুরাতন তাহলে সেই সকল ওয়েবসাইটে পণ্যের নাম, দাম, ছবি, যোগাযোগ নাম্বারসহ বিস্তারিত তথ্য দেন। এবং ক্রেতারা সেই পণ্য কিনতে আগ্রহ বোধ করলে যোগাযোগ করে। 

ওয়েবসাইটগুলো হলো:

দিতীয়টি হলো কিছু কিছু ব্যক্তি বা ওয়েবসাইট রয়েছে যারা নিজেরাই পণ্যের নাম, দাম, ছবি দিয়ে থাকেন এবং তারাই বিক্রয় ও সরবরাহ করেন।  এক্ষেত্রে ক্রেতার কাজ হলো পণ্য পছন্দ করে অনলাইনে অর্ডার করা। এবং ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড, বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে অনলাইনে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা। তাহলেই পণ্য পৌঁছে যাবে ঠিকানা অনুযায়ী। সেক্ষেত্রে পণ্য হাতে পেয়েও মূল্য পরিশোধ করা যায়।

ওয়েবসাইটগুলো হলো: Priyoshop.com, ইত্যাদি। আপনি যেকোন জায়গা থেকে প্রিয় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন গিফট দিয়ে।

অনলাইন শপিংয়ে সুবিধা
অনলাইন শপিংগুলোর সুবিধার শেষ নেই। শপিং করার জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখার প্রয়োজন হয় না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো সময়ে আপনি কেনাকাটা করতে পারবেন। সেটি মধ্য রাত হোক কিংবা ভোর বেলা। যে কোনো জায়গায় বসে আপনি তুলনামূলক কম দামে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন খুবই সহজেই। বিভিন্ন উৎসবে অনলাইন শপিংগুলো মাঝে মাঝে ডিসকাউন্ট অফার দেয় যাতে ক্রেতারা কিনতে আরো বেশি আগ্রহী হয়। আপনি চাইলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র একসাথে পেয়ে যাবেন। এ জন্য আপনাকে ঘুরে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হবে না।

অনলাইনে কেনাকাটায় সতর্কতা
প্রতিটি সুবিধার পেছনে আবার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সে জন্য কিছু কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন ইন্টারনেটে ব্র্যান্ডের নাম করে কিছু ভুয়া ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোর ফাঁদে যেন না পড়েন সেজন্য পণ্যের সঠিক দাম এবং ওয়েবসাইটগুলো ভালো করে যাচাই করে পণ্য অর্ডার করুন। সবচেয়ে বেশি দ্রুততম যারা পণ্য পৌঁছে দেয় তাদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করতে হবে। মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধ করলে কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে না। বেশ কিছু অনলাইন শপিং সাইটের বিরুদ্ধে জাল বা ডুপ্লিকেট পণ্য বিক্রয় করার অভিযোগ আছে। বলাবাহুল্য, এ সমস্ত ডুপ্লিকেট পণ্য গুণমানে কখনোই অরজিনাল পণ্যের সমতুল্য হতে পারে না। সে ক্ষেত্রে পণ্য কেনার আগে বিভিন্ন সাইট ঘুরে এবং দাম ভালো করে দেখে কিনে নেয়া ভালো।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুন ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়