ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

২০১৯ সালকে আপনার সুখী বছরে পরিণত করুন

খালেদ সাইফুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২০১৯ সালকে আপনার সুখী বছরে পরিণত করুন

প্রতীকী ছবি

খালেদ সাইফুল্লাহ : কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে ২০১৯ সাল অন্য সব বছরের থেকে চমৎকার কাটতে পারে। যদিও আপনার পরিকল্পনাগুলো গতানুগতিক হতে পারে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেগুলোকে কার্যকর করার জন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করতে হবে। এ নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।

* সফলতার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিযুক্ত করুন : আপনার পরিকল্পনায় অবশ্যই ইতিবাচক দিকগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। যেমন- আপনি কখনো চকলেট জাতীয় জিনিস খাবেন না, এর থেকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ফলমূল, শাকসবজি খাবেন এই বিষয়টির দিকে বেশি গুরুত্ব দিন। সফলতার জন্য আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কিছু জিনিসকে সহায়ক হিসেবে রাখা। আপনার কাজের জন্য সহায়ক পরিবেশ এবং নিকটতম বন্ধুমহল আপনার লক্ষ্য অর্জনে অধিকতর সহায়ক হতে পারে।

* ভালো সকালের প্রতিজ্ঞা করুন : ‘দিনের শুরুটা আমাদের যেভাবে কাটে বাকি দিনও তেমনই অনুভূত হয়, এমনকি বাকি জীবনও’ এমনটাই বলেন ‘অপারেশন হ্যাপিনেস’ বইয়ের লেখক ক্রিস্টি লি। প্রতিটি দিন সুন্দর কিছু অভ্যাস এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে শুরু করলে আপনার সামগ্রিক সুখানুভূতির মধ্যে বড়সড় পার্থক্য দেখতে পারবেন। বই পড়া, পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীরকে সতেজ করে নেওয়া কিংবা ৫ মিনিট মেডিটেশন বা ৬০ সেকেন্ড বড় শ্বাস গ্রহণের মতো কিছু উদ্দীপনামূলক কাজের মাধ্যমে আপনার সকাল শুরু করতে পারেন। ভালো সকাল আপনার নিশ্চিত সুখের ভিত্তি হতে পারে।

* রেফ্রিজারেটর পূর্ণ রাখুন : আপনার খাবারের প্লেট যথাসম্ভব নিরাপদ ও অপ্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার দিয়ে পূর্ণ করুন, যেখানে ফলমূল, শাকসবজি এবং প্রোটিনের সুষম সমন্বয় থাকবে। ফলমূল ও শাকসবজি প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। যেগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের নিত্যকার বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় রোধ করে। রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় প্যাকেটজাত খাদ্য পরিহার করে ফ্রিজে খাবার রাখার চেষ্টা করুন।

* নিজের প্রতি স্বচ্ছন্দ হোন : নিজের সঙ্গে যথাসম্ভব নম্র ও সদয় আচরণ করার সংকল্প করুন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের ওপর খুবই কঠিন হওয়ার প্রবণতা রয়েছে আমাদের। এ কারণে অনেক সময় প্রকৃত সুখানুভূতি থেকে আমরা বঞ্চিত হই। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষগুলোর সম্পর্কে যেভাবে কথা বলতে অভ্যস্ত ঠিক সেভাবে নিজের সম্পর্কে কথা বলায় অভ্যস্ত হোন। এটি খুব সহজ নয়। এর জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং যখন আপনি এটি করতে পারবেন তখন আপনার ভেতর ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

* আপনার চাওয়াগুলোর জন্য সময় বের করুন : বাগান করা, পর্বতারোহণ কিংবা পছন্দের রান্না করা, যেটাই আপনার জন্য উপভোগ্য হয় তার জন্য আপনি সময় বের করুন। কাজ এবং পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়াটা খুবই সহজ কিন্তু আমরা প্রায়ই নিজেকে প্রাণবন্ত এবং উচ্ছসিত করার মাধ্যমে আত্মার খোরাক জোগাতে ভুলে যাই। আপনি যেসব কাজ করতে পছন্দ করেন তার জন্য অধিক সময় বের করার উত্তম পন্থা হলো, নিয়মিত আপনার কার্যতালিকা পর্যালোচনা করা এবং যেসব কাজ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোকে বাদ দেওয়া।

* ভ্রমণ করুন : আপনার মনের দিগন্তকে যতদূর সম্ভব সরল এবং যৌক্তিকভাবে প্রসারিত করুন। নিজেকে নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিমগ্ন করুন, যা আপনাকে ব্যক্তি হিসেবে বিকশিত হতে সাহায্য করবে এবং বিশ্বের বৈচিত্রগুলোকে মূল্যায়ন করবে। দূরবর্তী কোনো স্থানে ভ্রমণ করুন এবং বিশ্ব ও ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার মাধ্যমে অবিস্মরণীয় কিছু স্মৃতি তৈরি করুন। অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে আপনি যেসব কাজ করেন তার মধ্যে একমাত্র ভ্রমণই আপনাকে ধনী করে।

* জিনিসপত্রগুলোকে গুছিয়ে রাখুন : সুশৃঙ্খলভাবে সজ্জিত জিনিসগুলো মানুষকে বেশি সুখী করে তোলে। দৃষ্টিসীমায় কম প্রতিবন্ধকতা চোখ ও মন উভয়ের জন্য প্রশান্তিদায়ক। জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে, দেখাশোনা করতে এবং চলাফেরার জন্য আরামদায়ক, যা আপনাকে বেশি প্রফুল্লতা দান করবে। এলোমেলো জিনিসগুলোকে ধীরে ধীরে গোছানোর পরিকল্পনা করতে হবে। বছরের প্রথম মাস থেকেই একটি একটি করে জিনিস গুছিয়ে নিতে শুরু করুন।

(আগামী পর্বে সমাপ্য)

পড়ুন :


 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়