ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ নিয়ে প্রবাসীদের কথা

তোফাজ্জল লিটন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ নিয়ে প্রবাসীদের কথা

তোফাজ্জল লিটন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : প্রবাসী আয়ের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান নবম।  প্রবাসীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বর্তমানে প্রায় ৮৮ লাখ বাংলাদেশি বাস করেন।

প্রবাসী আয়ে প্রথম স্থানে থাকা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের জন্য স্বতন্ত্র দিবস আছে। বাংলাদেশের জন্মের ৪৭ বছরেও এ বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর জন্য আলাদা কোনো দিবস ছিল না। নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর হোসে পেরাল্টার প্রস্তাবে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ নামের একটি রেজুলেশন পাশ করেন।  মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহার উদ্যোগে এই প্রক্লেমেশনে ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় ২০১৮ সালে।

এ বিষয়ে এই প্রতিবেদক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা পেশাজীবী প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। সবাই দিবসটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, যেন দিবসটিকে সংসদে আইন আকারে পাশ করা হয়। সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদের কাছে দিবসটির বিষয়ে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র পৌঁছে দেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. জিয়াউদ্দীন আহমেদ।

লসঅ্যাঞ্জেলেসের অ্যাকটিভিস্ট মুমিনুল হক বাচ্চু বলেন, লিটল বাংলাদেশ নামে খ্যাত লসঅ্যাঞ্জেলেসে ৫০ হাজার বাংলাদেশি মানুষ বসবাস করেন। আমাদের সবার পক্ষ থেকে নিউইয়র্ক স্টেটকে ধন্যবাদ জানাই, আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণা করে গর্বিত করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই প্রবাসীবান্ধব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তো আমাদেরই লোক। আমি তাদের কাছে জোর দাবি জানাই, যেন এটি সংসদে পাশ করে প্রবাসীদের সম্মানিত করেন।

যুক্তরাজ্য উদীচীর সভাপতি গোলাম মোস্তফা এ দিবসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নিউ ইয়র্ক স্টেট বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে ঘোষণা করে আমাদেরকে সম্মানিত করেছে। এটা আমাদের জন্য গৌরবের। দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক প্রবাসীর  প্রধান দায়িত্ব দিনটিকে মর্যাদার সঙ্গে পালন করা। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে হবে।

 



সৌদী প্রবাসী আব্দুল আহাদ বলেন, আমরা দেশের জন্য বিদেশে থেকে যে পরিশ্রম করি, আমি চাই, প্রবাসীদের জন্য একটি আলাদা দিবস থাকুক।

ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক পোল্যান্ড প্রবাসী শাহরিয়ার সাকু বলেন, বাংলাদেশের বাইরে প্রবাসী প্রত্যেকেই বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর। আমেরিকা সরকার বাংলাদেশকে যে সম্মান দিয়েছে তা যদি সরকার গ্রহণ করে আইন পাশ করে তাহলে আমাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে আমরা মনে করব।

কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটির সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া বলেন, যে দিবসটি আমরা পেয়েছি, সরকার যদি চায় তাহলে তা সহজে বাস্তবায়ন হতে পারে।

দিবসটির স্বপ্নদ্রষ্টা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন,  আগামী ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। তার আগে ২৫ সেপ্টেম্বরকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলাদেশ ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা করলে জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানাবার গৌরবতম অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি মনে করি।  বহির্বিশ্বে বসবাসরত হাজার হাজার বাঙালি ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ পালনের মধ্য দিয়ে  জাতির জনক কর্তৃক বিশ্বপরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে তুলে ধরার ঐতিহাসিক দিনটির গুরুত্বও বহন করবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ জানুয়ারি ২০১৯/লিটন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়