ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মেজর জিয়াসহ দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ৫ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেজর জিয়াসহ দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় পলাতক চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সেজর জিয়াসহ দুই আসামির সম্পত্তি ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পলাতক অপর আসামি হলেন- আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ।

রোববার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান দুই আসামির সম্পত্তি ও মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তা সহকারী (দাপ্তরিক কর্মকর্তা) রুহুল আমিন। বিচারক আগামী ১৬জুন মামলার কার্যক্রমের পরবর্তী তারিখ রেখেছেন বলে জানান রুহুল আমিন।

গত ১১ এপ্রিল  ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। পলাতক থাকায় ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার অপর চার আসামি হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব) মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্) ও শফিউর রহমান ফারাবি। এরা সবাই কারাগারে আছেন।

মামলাটিতে গত ১৩ মার্চ মেজর জিয়াসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। বিচারের জন্য প্রস্তত হওয়ায় গত ২৫ মার্চ মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী।

মামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মে ২০১৯/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়