ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শেষদিনে মার্সেলের লাখ টাকা পেলেন ঢাকার ব্যাংক কর্মকর্তা

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৭, ৫ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেষদিনে মার্সেলের লাখ টাকা পেলেন ঢাকার ব্যাংক কর্মকর্তা

আজিজুল ইসলাম রানার হাতে মার্সেলের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেষ হলো মার্সেল ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পেইনে কোটি টাকার অফার। মার্সেল ফ্রিজ কিনে ৫ মাসব্যাপী চলা এ অফারের শেষদিনে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন ঢাকার একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম রানা। যা দিয়ে তিনি বোনদের উপহার দিয়েছেন। আবার নিজের নতুন সংসারও সাজিয়েছেন প্রয়োজনীয় নানান ইলেকট্রনিক্স পণ্যে।

আজিজুল ইসলাম রানা জানান, তার বাড়ি নাটোর সদর থানায়। ব্যাংক এশিয়ার প্রগতি সরণী শাখায় চাকরি করেন তিনি। ৩ ভাইয়ের মধ্যে ছোট হলেও তার পরে আরো দুই বোন আছে। সবাই বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। তার বড় ভাই রমনা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট। ৫ বছর আগে বিয়ে করেন রানা। তাদের ঘরে এক ছেলে। এতদিন স্ত্রীসহ বড় ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। তবে সম্প্রতি আলাদা হয়ে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়েছেন।

রানা বলেন, ‘নতুন সংসারে টিভি বা ফ্রিজ কোনো পণ্যই ছিল না। নতুন করে কেনা শুরু করি। তবে ফ্রিজের প্রয়োজনটা সবচেয়ে বেশি বলে আগে ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নেই। ব্যাংকে মাসের ২৬ তারিখে বেতন হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন তুলে পরের দিনই স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ফ্রিজ কেনার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হই। প্রথমেই মার্সেল শোরুমে আমাদের চোখ পড়ে। স্ত্রীর কথায় খিলক্ষেতের মার্সেল শোরুম এ টু জেড ইলেকট্রনিক্সে যাই। সেখানে চোখ ধাঁধানো কালার আর হরেক রকম মডেলের ফ্রিজ দেখে আমাদের খুব ভালো লাগে। দামও তুলনামূলক কমই ছিল। তাই দ্বিতীয় কোনো চিন্তা না করেই ওই শোরুম থেকে দেখে শুনে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে ১৭ সিএফটি সাইজের একটি ফ্রিজ কিনি। যেটি স্ত্রীর খুব পছন্দ হয়।’

রানা জানান, শোরুমে প্রবেশের পর কয়েকটি ব্যানার ও স্টিকারে কোটি টাকার অফারটি দেখতে পান তিনি। শোরুমের কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি জানতেই চাইলে তারা জানান ৫ মাস আগে মার্সেল ও ওয়ালটন এই অফার ঘোষণা করে। এই অফারে ওয়ালটন বা মার্সেল পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। তারা আরো জানান, ওই অফার শেষ হতে আর মাত্র একদিন বাকি আছে।

আজিজুল ইসলাম রানা বলেন, ‘লাখ টাকার আশা না করে প্রয়োজনীয় ফ্রিজটি কিনে বাসায় যাই। তবে নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল নাম্বার দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করি। সেদিন মার্সেল থেকে কোনো এসএমএস আসেনি। পরের দিন ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম। ঠিক বেলা ১১টার দিকে আমার মোবাইলে একটি মেসেজের আওয়াজ হয়। মোবাইল ওপেন করে দেখি সেটা মার্সেল কোম্পানির। আর মেসেজ পড়ে দেখি আমি এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি। তখন নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হয়। সেই অনুভূতির কথা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। অফারের শেষদিনেই কিনা-লাখ টাকা পেলাম আমি! আমার ভাগ্য এত ভালো, তা আগে বুঝতে পারি নাই।’

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়া মার্সেলের ভাগ্যবান ক্রেতা আজিজুল ইসলাম রানাকে নিয়ে আনন্দ মিছিল


তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা একেবারেই বিরল। আমার জীবনে অনেক কোম্পানিকে নানা অফার ঘোষণা করতে শুনেছি। কিন্তু এ ধরনের পুরস্কার এখন পর্যন্ত কেউ পেয়েছে বলে শুনিনি। এই প্রথম বিরল ঘটনা জানলাম, শুনলাম ও দেখলাম। এমনকি নিজেই এ বিরল ঘটনার সাক্ষী হলাম। আমার স্ত্রীসহ সব আত্মীয়-স্বজনও সবাই মহাখুশি।’

আজিজুল ইসলাম রানা বলেন, ‘মার্সেল কোম্পানির সিস্টেমই যেন অনেক আপডেট। পুরস্কার পাওয়ার ২/১ দিনের মধ্যে বিজয়ীকে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। এত দ্রুত পুরস্কার হস্তান্তরের ঘটনাও বিরল। কেননা আমাদের ব্যাংকে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পায়। নানান প্রক্রিয়া শেষ করে সেগুলো উঠাতেও ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে।’

তিনি বলেন, ‘ধন্যবাদ মার্সেল কোম্পানিকে। কারণ এতদিন লালিত আমার ভুল ধারণা পাল্টে দিল। মার্সেল দেখিয়ে দিল যেসব কোম্পানি আসলে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে না। আমি মার্সেল কোম্পানির মালিক, কর্মকর্তা ও কোম্পানির সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।’

ক্যাশ ভাউচারের টাকায় কি কি কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই প্রথম এমন একটি বড় পুরস্কার পেলাম। এমন সময় পেলাম, যখন নতুন সংসারে অনেক পণ্যের প্রয়োজন। তাই ক্যাশ ভাউচারের টাকা দিয়ে বাসার প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কিনেছি। এর মধ্যে রয়েছে আরো ২টি ফ্রিজ, একটি এলইডি টিভি, রাইস কুকার, গ্যাসস্টোভ, আয়রন ও ব্লেন্ডার। আমার দুই বোনকে ২টা ফ্রিজ উপহার দিয়েছি। বাকি পণ্যগুলো আমাদের বাসায় ব্যবহারের জন্য রেখেছি।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মার্চ ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়