ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

আ.লীগ নেতার ভাই হত্যা : ২১ আসামির জামিন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ৮ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আ.লীগ নেতার ভাই হত্যা : ২১ আসামির জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাড্ডার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই কামরুজ্জামান ওরফে দুখু মিয়া (৩২) হত্যা মামলায় ২১ আসামিকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। আর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই ২৪ জন গতকাল সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. খুরশীদ আলম এই আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া ২১ জন হলেন- সাজ্জাদ হোসেন, মশিউর রহমান, কাউছার মিয়া, মনিরুল হক মুন্না, আজাদ হোসেন, নুরুল হক, এহসানুল রহমান সুমন, আলমগীর কবির, আমজাদ হোসেন, সুলতানুর রহমান, সাজেদুর রহমান সাজি, রনি, সাজেদুর রহমান সাজু, আলমগীর, এনায়েত উল্লাহ, রাজু, তাজিরুল ইসলাম, আব্দুল নূর, মাসুম, শফিকুল ও সাইদুর রহমান।

আর কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- ফারুক আহম্মেদ, আইয়ুব আনসারী এবং মারুফ আহম্মেদ।

কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে ফারুক আহম্মেদ আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহর ভাগ্নে। ফারুক আহমেদে ভাই আইয়ুব ও তার চাচাতো ভাই বেরাইদ ইউপি সদস্য মারুফ।

জামিন বিষয়ে আদালতে বাড্ডা থানার জেনারেল রেকর্ডি অফিসার (জিআরও) শেখ মো. আবু হানিফ বলেন, আমি এই মামলাটিতে সবচেয়ে বেশি জামিনের বিরোধিতা করেছি। যাদের বিরুদ্ধে হত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আর যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই তাদের জামিন দিয়েছেন।

গত ২২ এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে  কামরুজ্জামান ওরফে দুখু মিয়াকে খুন করা হয়। গত ১৪ দিনে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারলেও তারাই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, মামলাটিতে এজাহারে নাম নেই নেজারুল ইসলাম ও জামান নামে দুই জনকে পুলিশ ঘটনার পর গ্রেপ্তার করে। তারা দুই দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

গত ২২ এপ্রিল কামরুজ্জামান দুখু নিহত হন ও গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ১০ জন। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এমপি রহমত উল্লাহর ভাগ্নে ফারুক আহমেদকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় এজাহারনামীয় তিনজন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মোহসিন কবির, ইমদাদ হোসেন ও মহসিন।

জানা যায়, সাংসদ রহমতুল্লাহ নিজের ছেলেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর করতে চেয়েছিলেন, তাতে বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাগড়া দেওয়ায় গত জানুয়ারি থেকে তাদের বিরোধ শুরু হয়। সেই বিরোধের জেরেই জাহাঙ্গীর গত ১৩ এপ্রিল ব্যবসায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে জিডিও করেছিলেন নিহত কামরুজ্জামান। ওই বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মে ২০১৮/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়