ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গণমাধ্যমের জন্য নতুন নীতিমালা হচ্ছে না : ইসি

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ৮ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গণমাধ্যমের জন্য নতুন নীতিমালা হচ্ছে না : ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার ও সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের জন্য নতুন করে কোনো নীতিমালা হবে না। এছাড়া নতুন বিধি-নিষেধও আরোপ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

তবে ভোটের দিন সংবাদ সংগ্রহ, সরাসরি সম্প্রচার ও ভোটকেন্দ্রে ইসির দেওয়া নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তিনি। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ইসি সচিব এ কথা বলেন।

বিভিন্ন নির্বাচনে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহ, প্রচার, প্রতিবেদন প্রকাশ এবং ভোট গ্রহণের দিন ভোটকেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহ, প্রকাশ/প্রচার বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত শীর্ষক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ইসি।

কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়-প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকক্ষে প্রবেশ করা যাবে না; সাংবাদিকরা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না; কোনো নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করা থেকে বিরত থাকবেন; সাংবাদিকরা ভোটে প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্যে সংবিধান, নির্বাচনী আইন ও বিধিবিধান মেনে চলবেন।

প্রস্তাবিত নীতিমালায় নতুন কিছু প্রস্তাবে সংযোজন করা হয়। তাতে বলা হয়-ভোটদানের ছবি তোলা যাবে না; ভিডিও করা যাবে না। ভোটকেন্দ্রে কর্মরতদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না; পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলা যাবে না; ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না; ভোট গণণার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না এবং একই সঙ্গে একাধিক সাংবাদিক একই কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না।

গণমাধ্যমকর্মীরা আলোচনায় অংশ নিয়ে ইসির উদ্যোগের সমালোচনা করে জানান, ভোটকে সামনে রেখে আকস্মিকভাবে নীতিমালা প্রণয়নের তৎপরতায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে শঙ্কা তৈরি হতে পারে। গণমাধ্যকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে বেশ সচেতনভাবেই কাজ করছেন। বিদ্যমান আইন-বিধির যথাযথ প্রয়োগ হলে নীতিমালার প্রয়োজন পড়বে না।

পর্যবেক্ষণ নীতিমালা মেনে ও সাংবাদিক পরিচয়পত্রের মধ্যে থাকা নির্দেশনা অনুসরণ করেই কাজ করছে গণমাধ্যমকর্মীরা।

গণমাধ্যমের জন্য নীতিমালা না করে অবাধ, সুষ্ঠু ভোট আয়োজন করার বিষয়ে কমিশনের ক্ষমতা প্রয়োগের পরামর্শ দেন তারা।

পরে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‍গণমাধ্যমের জন্য প্রস্তাবিত নীতিমালা করা হচ্ছে না। নতুন কোনো বিধি-নিষেধ আরোপের উদ্দেশ্য আমাদের নেই। গণমাধ্যম আমাদের সহায়ক শক্তি। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে ভোটের সংবাদ আরো কীভাবে সুচারুভাবে প্রচার করা যায়।

গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ কার্যকর করা হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রে কর্মরতদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না-এমন বিষয় যুক্ত রাখা হবে না।

সচিব বলেন, স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করে; নিজেদের নীতিমালা মেনে কাজ করে। আগামীতে এ কাজ আরো সুন্দর হবে আশা করি। কোনো ধরনের ভুল বুঝাবুঝি যেন না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখা হবে। যেকোনো অনিয়মের বিষয়ে কমিশন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

গণমাধ্যমের প্রশংসা করে তিনি জানান, ভোটের দিন অনিয়মের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন দেখেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় সেল থাকে। সেক্ষেত্রে ফল প্রচার ও সুব্যবস্থাপনায় একযোগে কীভাবে কাজ করা যায় তাও দেখা হবে।

এ সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, যুগ্মসচিব মিজানুর রহমান খন্দকার, এস এম আসাদুজ্জামান, ফরহার আহাম্মদ খান, উপসচিব ফরহাদ হোসেন ও তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আশিক রহমান, আশিস সৈকত, জ ই মামুন, মোস্তফা ফিরোজ, জাহিদ নেওয়াজ খান, মনজুরুল হক, মঈনুল হক চৌধুরী, কাজী জেবেল, সাইদুর রহমান, রাজা রায়, একরামুল হক সায়েম, আরাফাত সিদ্দিকী, রাসেল আহমেদ, মুকিমুল আহসান হিমেল, তানিয়া আহমেদ, আসমা মিতা, হুমায়ুন কবীর, বেলায়েত হোসেন, ইমরান হোসেন, সিরাজুজ্জামান হেলাল  প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মে ২০১৮/হাসিবুল/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়