দেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১২৪৮

সংসদ প্রতিবেদক: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমানে সারাদেশে মোট প্রকাশিত পত্রিকার সংখ্যা ২ হাজার ৬৫৪ টি। এর মধ্যে দৈনিক ১ হাজার ২৪৮, সাপ্তাহিক ১ হাজার ১৯২ এবং পাক্ষিক পত্রিকার সংখ্যা ২১৪।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে জাপার সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নবম ওয়েজবোর্ড গঠন এবং সকল সংবাদপত্রের কর্মীদের শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নবম ওয়েজবোর্ড ইতোমধ্যে রিপোর্ট প্রদান করেছে। নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সারাদেশের সাংবাদিকদের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে বলে আশা করা যায়।

তিনি বলেন, ‘সরকার সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের অধিকার সুরক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইতোমধ্যে সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের চেতনায় দেশে গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সকল শাখা ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে অনেক সাংবাদিককে আর্থিক ও চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের চাকরি সুরক্ষার জন্য 'গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি ও শর্তাবলী) আইন' প্রণয়ন করা হচ্ছে। গত বছরের ১৫ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর নীতিগত অনুমোদন করা হয়। উভয় আইনের ভোটিং-এর জন্য এখন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। আইন দুটি প্রণীত হলে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, ‘অসচ্ছল, অসুস্থ ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিকদের অনুকূলে গত বছরের ৮ অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ডে সিড মানি হিসেবে ২০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে সর্বমোট ৩৫ কোটি টাকা সিড মানি রয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আসাদ/শাহনেওয়াজ