ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নাসিরের আক্ষেপ, রংপুরের ড্র

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নাসিরের আক্ষেপ, রংপুরের ড্র

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিচ্ছেন রংপুরের নাসির হোসেন ।। ছবি : রেজাউল করিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ওয়ালটন আইওটি স্মার্ট ফ্রিজ জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে ৭টি সেঞ্চুরি ও দুটি ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে। এই রাউন্ডে যেমন রান পেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা, তেমনি আক্ষেপকেও সঙ্গী করেছেন অনেকেই।

প্রথম দিনেই রংপুরের বিপক্ষে ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে ৯৯ রানে আউট হন বরিশাল বিভাগের সোহাগ গাজী। তৃতীয় দিনে রাজশাহীর নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে আউট হন ১৯৪ রানে। সব আক্ষেপ ছাড়িয়ে গেছে রংপুর বিভাগের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনেরটি। আজ শেষ দিন সকালে তিনি মাত্র ৫ রানের জন্য ট্রিপল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। বঞ্চিত হয়েছেন বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার সুযোগ থেকে। তার আক্ষেপের দিনে বরিশাল বিভাগের সঙ্গে ড্র করেছে রংপুর বিভাগ।

 


অবশ্য জয়ের জন্য এই ম্যাচটি খেলেনি রংপুর। প্রথম স্তরে এই ম্যাচটি জিতলেও খুব একটা লাভ হত না রংপুরের। কারণ পয়েন্ট টেবিলে খুলনা ও রংপুরের মধ্যে পয়েন্ট ব্যবধান ছিল বেশ। তার উপর আজ ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে ওয়ালটন আইওটি স্মার্ট ফ্রিজ ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা নিশ্চিত করেছে খুলনা বিভাগ।

তবে জয় না, রংপুরের চাওয়া ছিল আজ শেষ দিনের প্রথম সেশনে নাসির হোসেন ট্রিপল সেঞ্চুরি করুক। আগেরদিন ২৭০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা নাসির হোসেন আজ বেশ দেখেশুনেই ব্যাট করছিলেন। কিন্তু ২৯০ রান পার হওয়ার পরই নার্ভাস হয়ে যান তিনি। নার্ভাসনেসের প্রতিবন্ধকতা পেরুতে পারেননি নাসির। ২৯৫ রানের সময় লিঙ্কন দে সঞ্জয়ের বলে বরিশালের অধিনায়ক ফজলে রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। ভাগ্য নাসিরের সঙ্গে ছিল না। তাহলে হয়তো ক্যাচটি নাও হতে পারত। কিন্তু সেটি আর হল না। মাত্র ৫ রানের আক্ষেপে পুড়তে পুড়তে মাঠ ছাড়েন নাসির। তিনি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৬১৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। ১৭৬.৩ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে এই রান করে রংপুর। বল হাতে বরিশালের মনির হোসেন ৩টি, কামরুল ইসলাম রাব্বি ২টি, লিঙ্কন দে সঞ্জয় ও মোসাদ্দেক হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।

 


এরপর বরিশাল বিভাগ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। ৬২.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান তোলার পর পরই ড্র মেনে নেয় উভয় দল। এই ইনিংসে বরিশালের সালমান সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। ৫০* রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন। ফজলে রাব্বি ৩৭ ও রাফসান আল মাহমুদ ৩৫টি রান করেন।

বল হাতে রংপুর বিভাগের তানভীর হায়দার ২টি, নাঈম ইসলাম ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ১টি করে উইকেট নেন। অনবদ্য ২৯৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন রংপুর বিভাগের নাসির হোসেন।

 


এই ড্রয়ের ফলে ৬ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরে রানার্স-আপ হয়েছে রংপুর বিভাগ। সমান ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বরিশাল বিভাগ। ১০ পয়েন্ট পেলেও পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকায় ঢাকা বিভাগ রেলিগেশন প্রাপ্ত হয়ে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বরিশাল বিভাগ :
প্রথম ইনিংস- ৯৩.৫ ওভারে ৩৩৫/১০ (গাজী ৯৯, নুরুজ্জামান ৫৮; শুভাশীষ ৩/৫৪, আরিফুল ৩/৬৮ ও তানভীর ৩/৫৩)।
দ্বিতীয় ইনিংস- ৬২.২ ওভারে ২১৭/৪ (সালমান ৬১, মোসাদ্দেক ৫০*; তানভীর ২/৭৭)।

রংপুর বিভাগ:
প্রথম ইনিংস- ৬১৪/৭ (নাসির ২৯৫ ও আরিফুল ১৬২; মনির ৩/১৫১ ও রাব্বি ২/১৩৪)।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ডিসেম্বর ২০১৭/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়