ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিসিএস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিসিএস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন নির্বাহী পরিষদের ২০১৮-১৯ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চলছে বিসিএস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন নির্বাহী পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা। এবার ৪৬ পদের বিপরীতে প্রার্থী ১০১ জন।

বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। মনোনয়ন সংগ্রহ শেষ হয় ১৭ ডিসেম্বর। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

বিসিএস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন ২০১৮-১৯ এর নির্বাচনে কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার রাধেশ্যাম রায়কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কর অঞ্চল-১০ এর কমিশনার অপূর্ব কান্তি দাসকে নির্বাচন কমিশনার ও এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) আবু মো. কামরুল হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিশন ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী তফসিল ও আচরণবিধি ঘোষণা করে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই কর বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রের ৪ নং পরিচ্ছেদ অনুযায়ী সংগঠনটির পদ সংখ্যা ৪৬। এর মধ্যে তিনজন সহ-সভাপতি, দুজন যুগ্ম মহাসচিব ও ২৬ জন নির্বাহী সদস্য ছাড়া অন্যান্য পদে একজন পার্থী নির্বাচিত হবেন।

২০১৮-১৯ নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। এরা হলেন- এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার, কর কমিশনার মো. সেলিম আফজাল ও মো. মেফতাহ উদ্দিন খান।

সহ-সভাপতির তিনটি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতে প্রার্থী। এরা হলেন- কর কমিশনার রওশন আরা আক্তার, মোহাম্মদ জাহিদ হাছান, মো. মাহমুদুর রহমান, শাহীন আক্তার, আতিয়ান নাহার, আ জা মু জিয়াউল হক, অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. আলী আজগর।

মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার প্রার্থী। এরা হলেন- অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, মো. নুরুজ্জামান খান, মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ কবীর, যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ ফজলে আহাদ কায়ছার।

কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কর কমিশনার মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, অতিরিক্ত কর কমিশনার মঞ্জুমান আরা, যুগ্ম কর কমিশনার সুবর্ণা চৌধুরী ও মো. আবুল বাসার আকন।

যুগ্ম মহাসচিবের দুটি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার প্রার্থী। এরা হলেন- অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মুহতাসিবুর রহমান খান, যুগ্ম কর কমিশনার মো. শাব্বির আহমদ, মো. ছায়িদুজ্জামান ভূঞা ও এ জেড এম নূরুজ্জামান।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুগ্ম কর কমিশনার মো. জেহাদ উদ্দিন ও উপ-কর কমিশনার মো. মেহেদী হাসান। সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সহকারী কর কমিশনার মো. সাজ্জাদুল ইসলাম মীর, মো. আহসান উল্লাহ রাসেল ও মো. গোলাম কিবরিয়া।

ক্রীড়া সম্পাদকের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুগ্ম কর কমিশনার শেখ শামীম বুলবুল ও মো. মনিরুজ্জামান। সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপ-কর কমিশনার মো. মোসাদ্দেক হুসেন ও সজীব কুমার সাহাজী, সহকারী কর কমিশনার মো. আল আমিন, মো. মামুন মিয়া।

গবেষণা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুগ্ম কর কমিশনার ড. মো. নুরুল আমিন, উপ-কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান, নার্গিস আকতার।

সহ-গবেষণা সম্পাদক পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপ-কর কমিশনার মো. সাজিদুল ইসলাম, সহকারী কর কমিশনার মো. মিজানুর রহমান ও মো. নাজমুল হুদা।

দপ্তর সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, উপ-কর কমিশনার মো. মেজবাহ উদ্দিন খান ও সহকারী কর কমিশনার মো. ফারজানুল ইসলাম।

সহ-দপ্তর সম্পাদক পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সহকারী কর কমিশনার এনামুল হাসান আল-নোমান, মো. মেহেদী মাসুদ ফয়সাল।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুগ্ম কর কমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম, উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা ও মোহাম্মদ হেফজুর রহমান।

সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সহকারী কর কমিশনার সাজিদ খান ও নাজমা পারভীন।

সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুগ্ম কর কমিশনার সাহেনা আক্তার, উপ-কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ, মুহাম্মদ মুঈনুল ইসলাম, এস এম মুশফিকুর রহমান।

সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সহকারী কর কমিশনার জানে আলম মো. শামীম মিয়া। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপ-কর কমিশনার এস এম গালিব ফারুক ও শুহান সাঈদ।

সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদকের একটি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপ-কর কমিশনার চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী ও মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী কর কমিশনার শাহরিয়ার শহীদ।

নির্বাহী সদস্যের ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪১ জন। প্রার্থীরা হলেন- কর কমিশনার আরিফা শাহানা, রঞ্জন কুমার ভৌমিক ও সামস উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত কর কমিশনার কবীর উদ্দিন মোল্লা, রণজিৎ কুমার তালুকদার, খন্দকার খুরশীদ কামাল, মোহাম্মদ আবুল কালাম, সৈয়দ জাকির হোসেন, মো. শামীমুর রহমান, মো. বজলুর রহমান খান, মো. মনোয়ার আহমেদ, অমিত কুমার দাস, যুগ্ম কর কমিশনার মো. সারোয়ার হোসেন চৌধুরী, রুনা লায়লা, মোহাম্মদ ওয়াহিদ উল্লাহ খান, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সেলিম রেজা, উপ-কর কমিশনার রেজিয়া সুলতানা রিজু, মো. মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মামুন সাদাত, মো. মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ তারিক ইকবাল, তাপস কুমার চন্দ্র, মো. সিরাজুম মুনীর, মো. মহিদুল ইসলাম চৌধুরী, পল্লব কুমার দেব, মো. সাইফুর রহমান রাসেল, সহকারী কর কমিশনার মো. জহিরুল ইসলাম, মাফরোজা সুলতানা ইমা, লিংকন রায়, মো. মাজহারুল হক ভূঞা, মো. জাহিদুল ইসলাম, রুপন চন্দ্র দাস, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, দেওয়ান মো. গোলাম কিবরিয়া, একেএম তানিম উজ জামান, নাছির উদ্দিন, ফেরদৌস হক শাকুর, মহিবুল ইসলাম ভূইয়া, মিসপি সরেন, মো. হাসানুর রহমান।

বিসিএস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ সালে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুর রাজ্জাক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ডিসেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ