ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

এবার পিবিআই তদন্তে রাউধা হত্যা মামলা

তানজিমুল হক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এবার পিবিআই তদন্তে রাউধা হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘ভোগ’র মডেল রাউধা আতিফের হত্যা মামলাটি এবার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রাজশাহীর আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাউধা আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে এই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আদালত। আর এ জন্যই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিবিআইকে।রাজশাহী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক আগে আদালত থেকে তাদের কাছে মামলার কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। এরপর পরিদর্শক আলমগীর হোসেনকে মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তৌহিদুল আরিফ জানান, শনিবার থেকেই মামলার তদন্ত শুরু করেছেন পরিদর্শক আলমগীর হোসেন। তদন্ত কর্মকর্তা ওই দিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দু’একদিনের মধ্যে তিনি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ রাজশাহীর নওদাপাড়ায় ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীনিবাস থেকে রাউধা আতিফের (২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মালদ্বীপের নীলনয়না রাউধা বাংলাদেশে এসেছিলেন পড়তে। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মডেলিং করতেন।

রাউধার মৃত্যুর দিনই কলেজ কর্তৃপক্ষ শাহমখদুম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে।

রাউধার লাশ ময়নাতদন্তের পর রাজশাহীতে দাফন করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাউধা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা রাজশাহীতে এসে ঘটনা তদন্ত করেন।

এদিকে রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রাউধা আত্মহত্যা করেছেন। তবে রাউধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ এসব প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে গত ১০ এপ্রিল তিনি রাজশাহীর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় রাউধার সহপাঠী ভারতের কাশ্মিরের মেয়ে সিরাত পারভীন মাহমুদকে (২১) একমাত্র আসামি করা হয়। কিন্তু সিরাতকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে দেশত্যাগে তার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল হত্যা মামলাটি শাহমখদুম থানা থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে দ্বিতীয়বারের মতো রাউধার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। সে প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, রাউধা আত্মহত্যা করেছেন।

সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আসমাউল হক তদন্তে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মালদ্বীপের এক যুবকের সঙ্গে রাউধার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি পড়াশোনার জন্য লন্ডনে থাকেন। তার সঙ্গে রাউধার সম্পর্ক ভেঙে যায়। আর এজন্য তিনি আত্মহত্যা করেন। দুদফার ময়নাতদন্ত, ভিসেরা ও মুঠোফোন পরীক্ষার পর তিনি এসব বিষয় নিশ্চিত হন।

তবে আসমাউল হকের এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। তাই মামলাটি পাঠানো হয়েছে পিবিআইয়ে।

সংস্থাটির তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গেই তদন্ত শুরু করেছেন তিনি।



রাইজিংবিডি/রাজশাহী/২৪ ডিসেম্বর ২০১৭/তানজিমুল হক/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়