ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মাংস তো খাবেন-ই, তবে...

মৃন্ময়ী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাংস তো খাবেন-ই, তবে...

প্রতীকী ছবি

মৃন্ময়ী হাসান : পত্রিকার পাতা জুড়ে এখন ঈদ রেসিপি। রেজালা, কাবাব, কালো ভুনা, মগজ ভাজা, দরবারি কোরমা, কোপ্তা..আরো নাম না জানা কত খাবারের আয়োজন। কোরবানীর ঈদকে ঘিরে, মাংসকে ঘিরে এই সব আয়োজন।

 

জিভে জল আনা এই খাবারের ছবি দেখা আর প্রতীক্ষার প্রহর গোনা। কোরবানীর ঈদটাই তো এমন। মাংসময়। ঈদে অতিরিক্ত মাংস খেযে শরীরের নানা অসুস্থতায় ভুগি আমরা। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় কিছুটা ওজন।

 

কোরবানী ঈদ। গরু-খাসি-মহিষ মুখরোচক খাবার পাতে পড়বে। তাই বলে খেতে হবে সবটাই? না খেতে হবে রয়ে-সয়ে। ঈদকে আনন্দময় করতে একটু সচেতন হয়ে খেলে লাল মাংসের জন্য পড়তে হবে না কোনো শারীরিক সমস্যায়।

 

এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো। তিনি জানান, ‘করোনারি হৃদরোগ, বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তি, যাদের ইসকেমিক হৃদরোগ আছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তারা তৈলাক্ত মাংস কমিয়ে খাবেন। সারা বছর তারা যে ধরনের নিয়ম-কানুন পালন করেন খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কোরবানির সময়ও এর ব্যতিক্রম না করাই ভালো।

 

কোরবানির মাংস একদিন বা দুইদিন খেলে যে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়, তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে যারা রয়েছেন, বিশেষ করে করোনারি হৃদরোগী, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) রোগী, ডিসপেপসিয়ায় আক্রান্ত রোগী তারা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ঈদের সময় খাওয়া-দাওয়ার পরিকল্পনা করবেন।

 

স্থূলকায় শরীর যাদের, তারা অবশ্যই ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা খাবার সুস্বাদু হবে এমন ভুল ধারণা পোষণ করে কোরবানির মাংসে বেশ কিছু চর্বি আলাদাভাবে যোগ করে থাকি। এটা ঠিক নয়। যতটুকু সম্ভব মাংসের চর্বি অপসারণ করে খাওয়া ভালো।

 

মাংসের সঙ্গে সবজি প্রচুর খাবেন। এটি আপনার পাকস্থলীকে সাবলীল রাখবে। অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। এই ঈদে বেশি মাংস খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপে, জ্বালাপোড়া করে, ব্যথা করে। যদিও সাধারণভাবে কোনো নির্দিষ্ট খাবার খেতে কোনো মানা নেই, কিন্তু পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরি।

 

পোলাও, বিরিয়ানি কম খাবেন, ভাত খাওয়াই ভালো। আর যে বিষয়টিতে সচেতন হতে হবে তা হলো মাংসের ঝোল বর্জন করতে হবে। কারণ ঝোলেই সবচেয়ে বেশি চর্বি থাকে। প্রাপ্তবয়ষ্ক এবং সুস্থ ব্যক্তিরা প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি মাংস খাবেন না। এসিডিটি এড়াতে ভাজাপোড়া কম খাবেন এবং কখনো পেটভর্তি করে খাবেন না। এসিডিটি দমনে এটি বেশ কাজে দেবে। গরুর মাংসে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা আগেই প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখুন।

 

এ সময় মাংসের পাল্লায় পড়ে শাকসবজি খাওয়ার কথা ভুলেই যাই। খাদ্য তালিকায় প্রচুর শাক-সবজি, ফলমুল রাখুন। প্রতিবার খাবারের সঙ্গে সালাদ রাখুন। কোলেস্টেরল যাতে শরীরে শোষিত হতে না পারে সেজন্য খাবেন টক দই।’

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়