তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ জয়ী হলো।
সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ২৭টি পরিচালক পদের মধ্যে ২১টিতে জয় পেয়েছেন পরিষদ প্যানেলের প্রার্থীরা। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ফোরামের প্রার্থীরা জয়ী হন ছয়টিতে।
বিজয়ী পরিচালকরা আগামী ২১ মার্চ নিজেদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি ও চারজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন।
সাধারণত বিজয়ী প্যানেলের প্রধানই বিজিএমইএর সভাপতি নির্বাচিত হন। সুতরাং সম্মিলিত পরিষদের নেতা বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম আবারো সংগঠনের নেতৃত্বে ফিরছেন বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
এ নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফোরামের নেতা বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
রোববার ঢাকা ও চট্টগ্রামে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা একযোগে এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলে, যাতে ভোট দেন ৮৮ শতাংশ ভোটার। রাতভর গণনা শেষে নির্বাচন কমিশনার বিটিএমএ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, বিজিএমইএর ২০১৩-১৪ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ঢাকা অঞ্চলে ১৫টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ছয়টি পরিচালক পদে জয়ী হয়েছেন সম্মিলিত পরিষদ নেতারা।
আর ফোরামের প্রার্থীরা ঢাকা অঞ্চলে পাঁচটি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি পরিচালক পদে জয় পেয়েছেন।
ঢাকা অঞ্চল থেকে পরিষদের নেতাদের মধ্যে প্যানেল প্রধান আতিকুল ইসলাম, মো. সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, এস এম মান্নান, মাহবুবুর রহমান, আবুল কালাম, শহিদুল্লাহ আজিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, মশিউল আজম, সৈয়দ সাদিক আহমেদ, মোহাম্মদ নাসির, আজমত রহমান, রিয়াজ-বিন-মাহমুদ, আবদুল্লাহ হিল রাকিব ও আরশাদ জামাল পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
আর চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন এ প্যানেলের প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মো. আবদুল ওহাব, শেখ সাদি, অঞ্জন শেখর দাশ, সাব্বির মোস্তফা ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
ফোরাম প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে জয় পেয়েছেন প্যানেল নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ফেরদৌস পারভেজ বিভন, এম এ রহিম ফিরোজ ও বিদ্যা অমরিত খান। আর চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ প্যানেলের একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
এ নিয়ে বিজিএমইএর ১৩টি নির্বাচনের মধ্যে সম্মিলিত পরিষদ ১০ বার বিজয়ী হলো। আর ফোরাম নেতারা এ সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিন মেয়াদে।
সর্বশেষ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গত দুই বছর বিজিএমইএর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনিও সম্মিলিত পরিষদেরই নেতা।
ফোরাম প্যানেল এবার ‘পরিবর্তন’ এর স্লোগান নিয়ে মাঠে নামলেও শেষ পর্যন্ত সম্মিলিত পরিষদ এর ‘ধারাবাহিকতা রক্ষার’ স্লোগানই জয় পেয়েছে।
দ্বিবার্ষিক এ নির্বাচনে ২৭টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৪ জন । এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ২০ পদের বিপরীতে ৪০ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৭ পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রার্থী ছিলেন।
এবার ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১৯৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৫৯২ ও চট্টগ্রামে ৬০৪ জন।
এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ২৫৯ জন ও চট্টগ্রামে ৫৫৪ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশনার জানান।