ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘পুলিশ পরিচয়ে অপরাধ হওয়ায় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে’

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৩, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পুলিশ পরিচয়ে অপরাধ হওয়ায় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে’

সংসদ প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ছদ্মবেশে পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

মঙ্গলবার সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে আব্দুল মতিনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা তাদের অপরাধের ধরন সময়ে পরিবর্তন করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ছদ্মবেশে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণের মতো অপরাধ হচ্ছে। এতে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে এ ধরনের কিছু প্রতারককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের জন্য নির্ধারিত পোশাক ও হ্যান্ডকাপ খোলাবাজারে বিক্রির বিষয়টি ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যদেরকে তাদের পোশাকের সাথে নিজস্ব আইডি কার্ড ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নেই। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এই সরকার কোনোভাবেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন, অনুমোদন ও অনুসমর্থন অথবা উৎসাহিত করে না। আইনসঙ্গত দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়।

নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এ পর্যন্ত দেশে ৩ হাজার ৫৬১ জন পুলিশ সদস্যকে বিদেশে জাতিসংঘ মিশনে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১ হাজার ১৯ জন সদস্য কর্মরত আছেন।

বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ থানায় জিডি করতে গেলে কর্মরত কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে দেখিয়ে টাকা আদায় করে, এটা সত্য নয়। এমনকি ভিকটিমকেও নাজেহাল করা হয় না। এরকম কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে অনুসন্ধান সাপেক্ষে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। গত ৫ বছরে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ৬১ হাজার ৯১০ জনকে লঘুদণ্ড, ৩ হাজার ৬০০ জনকে গুরুদণ্ড এবং ৫০৪ জনকে চাকরিচ্যুত/বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

বেগম রিফাত আমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে মাদকাসক্তের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে সঠিক পরিসংখ্যানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাদকের ভয়াবহতা রোধে ইতিমধ্যে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নৃপেন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়