ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক : ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণের বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৭ এ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া চালকের সহকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণের কথা বলা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, অন্য গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটালে সংশ্লিষ্ট গাড়িচালকের তিন বছরের জেল এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা দিয়ে গাড়ি চালালে সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা না হলেও চালকের দুই বছরের জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।’
তিনি বলেন, মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীর জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনো যাত্রী বসবেন না বা বসার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এটা লঙ্ঘন করলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালালে এক বছর কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য মৃত্যু বা অন্যান্য ক্ষেত্রে আগের মতোই দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, কেউ যদি গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নরহত্যা করে, তাহলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। দুর্ঘটনার জন্য মৃত্যু বা অন্যান্য ক্ষেত্রে আগের মতোই দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কেউ যদি গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নরহত্যা করে, তাহলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। আর মৃত্যু নয়, এমন ঘটনায় ৩০৪ ধারা অনুযায়ী সাজা দেওয়া হবে। শুধু দুর্ঘটনা হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালালে তিন মাস কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মার্চ ২০১৭/আসাদ/হাসান/মুশফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন