ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বন্ধ হয়নি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ১৬ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বন্ধ হয়নি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি।

রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, বাংলা মোটরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আগে সিটিং সার্ভিস হিসেবে চলা বাস-মিনিবাসগুলো লোকাল হিসেবে চলাচল করছে। গাদাগাদি করে তোলা হয়েছে যাত্রী। তবে ভাড়া কম হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় না করে যাত্রীদের কাছ থেকে আগের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। অনেক বাসে ভাড়ার তালিকা নেই।

সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী, মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। আর বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা। যেসব বাসে চালকসহ সর্বোচ্চ ৩১টি সিট থাকবে তা মিনিবাস হিসেবে গণ্য হবে। আর ৩১টির বেশি সিট থাকলে তা বাস হিসেবে বিবেচিত হবে। সর্বনিম্ন ভাড়ার পাশাপাশি সরকার প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১ টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল ও গুলিস্তানের ভাড়া হওয়ার কথা সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ টাকা। কারণ, যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল ও গুলিস্তানের দূরত্ব আনুমানিক তিন কিলোমিটার। কিন্তু গুলিস্তান ও মতিঝিল রুটে চলাচল করা পরিবহনগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ আদায় করছে ১০ টাকা। একই অবস্থা এ রুটের সিটিং থেকে লোকাল হওয়া প্রত্যেকটি বাসের। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হতে দেখা গেছে।

আজ থেকে সব বাস লোকাল হিসেবে চলাচল শুরু করার পর থেকেই বাসে যাত্রী গাদাগাদি করে নেওয়া শুরু করে। বাসের ভেতরে যাত্রী বোঝাই না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া হচ্ছে না বাসগুলো। সব জায়গা পূর্ণ হওয়ার পরই ছাড়া হচ্ছে বাস। এ ছাড়া প্রত্যেক জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানোর জন্য চার থেকে পাঁচ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখতে দেখা গেছে বাসগুলোকে। অথচ মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের ভাড়া বাড়ানোর অন্যতম শর্ত ছিল- লোকাল বাসে ৮০ শতাংশ আসন পূর্ণ হলেই চলাচল করবে বাস।

বেশি ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত বোঝাই করে যাত্রী ওঠানো সম্পর্কে জানতে চাইলে বিহঙ্গ পরিবহনের হেলপার রতন বলেন, ‘যাত্রীগো একটু বুঝাইতে হইব যে আমরা এখন লোকাল বাস চালাইতেছি। আর লোকাল বাসে চড়া কেমন মজা। জায়গায় জায়গায় থামব, লোক উঠাইব। ভাড়া কম নিমু, যাত্রী বেশি উঠামু না কেন? যার ভালো লাগে সে যাইব, যার ভালো লাগব না সে যাইব না। লোকালে ওঠার শখ হইছে, এখন দেহুক লোকাল পরিবহনের মজা কেমন।’

এদিকে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণে আসাদগেট, আইডিবি ভবন, বিমানবন্দর, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের  ভিজিল্যান্স টিম অভিযান পরিচালনা করছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ এপ্রিল ২০১৭/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়