যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীতে যাত্রীর ভোগান্তি কমাতে জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পিত ও সমন্বিত উগ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
একইসঙ্গে সিটিং সার্ভিস বন্ধের নামে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে যেসব বাস জড়িত তাদের রুট পারমিট বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘আসন বিবেচনা করে বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিটিং সার্ভিসের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ গড় বোঝাই ধরা হয়েছে। সে হিসাবে প্রতিটি ৩১ আসনের মিনিবাসে ছয়টি সিট খালি নিয়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় সিটিং হিসেবে যাতায়াত করার কথা। উন্নত বিশ্বে তা-ই হয়ে থাকে। কিন্তু নগরীতে চলাচলকারী প্রতিটি বাসে নিবন্ধনের অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫টি আসন সংযোজন করে সিটিং হিসেবে চলাচল করলেও ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী এমনিতেই অতিরিক্ত বা ওভারলোড থাকে, যা আইনগত নিষিদ্ধ।’
তিনি সিটিং সার্ভিস বন্ধে সরকারের উদ্যোগের মধ্যে যাত্রী শায়েস্তা করতে মিরপুর রুটের অধিকাংশ বাসে মাস্তান প্রকৃতির কিছু লোককে সেট করে রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বাড়তি ভাড়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুললে তারা যাত্রীদের নানাভাবে অপদস্ত করছে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সিটিং সার্ভিসের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এখনই বন্ধ করা না গেলে সেটি অচিরেই বৈধতা পেয়ে যাবে। কারণ অতীতেও মালিকদের অন্যান্য অনিয়মের কাছে প্রতিবাদ করে প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ায় যাত্রীরা এসব অনিয়মের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে।’
এসব অনিয়ম বন্ধে তিনি প্রশাসনকে আরো দৃঢ় হওয়ার আহ্বান জানান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৭/ইয়ামিন/সাইফুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন