ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সোমবার থেকে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ শুরু

তাহের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ২৩ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সোমবার থেকে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমানে বাংলাদেশে এক বছরের নিচে শিশুদের প্রথম টিকা গ্রহণের হার প্রায় ৯৯ শতাংশ। বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) শতভাগ সাফল্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। এমন বাস্তবতায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল সোমবার থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পালিত হবে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ ২০১৭।

‘বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ ২০১৭’ উদযাপন উপলক্ষে রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিএর) কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে লাইন ডাইরেক্টর, এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ, ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ইপিআাই অ্যান্ড সার্ভিল্যান্স, ডা. মো. শামসুজ্জামান এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে উচ্চ টিকাদান কভারেজ বজায় রেখে শিশু মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধকল্পে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্বে ইপিআই কর্মসূচির সাফল্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও সমাদৃত। ২০১৫ সালের জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ইপিআই এর আওতায় ১ বছরের নিচের শিশুদের মাঝে প্রথম টিকা গ্রহণের হার প্রায় শতভাগ ৯৯। যা ১৯৮৫ সালে মাত্র ২ শতাংশ ছিল।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারের নিবেদিত কর্মী বাহিনী ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহের সমন্বয়ে ইপিআই ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, ২০০৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে দেশকে পোলিও মুক্ত অবস্থা বজায় রেখে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অপরাপর দেশের সঙ্গে পোলিও মুক্ত সনদ অর্জন, ২০০৮ সালে মা ও নবজাতক ধনুষ্টংকার দূরীকরণ লক্ষমাত্রা অর্জন, ইপিআই কর্মসূচিতে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় নতুন নতুন টিকা সংযোজন।

তিনি আরো বলেন, ৬টি টিকা দিয়ে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে শুরু হওয়া ইপিআই কার্যক্রমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন টিকা সংযোজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে টিকার সংখ্যা ১১টিতে উন্নীত হয় যা ২০১৮ সালে ১৩টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইপিআই এর সাফল্যের মূলে রয়েছে সরকারের সর্বোচ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, দেশের সুন্দর স্বাস্থ্য অবকাঠামো, নিবেদিত কর্মী বাহিনী  এবং  দাতা ও উন্নয়ন সংস্থার কার্যকরী সহযোগিতা।

জনগণের মধ্যে টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, সমাজে টিকার ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করা, সকল পর্যায়ে টিকাদান কভারেজ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আলোকে ‘টিকা শিশুর জীবন বাঁচায়’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল এ সপ্তাহটি পালনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) পালনে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে : জাতীয় পর্যায়ে প্রেস ব্রিফিং ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, টেলিভিশনের মাধ্যমে টিকা দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর আহ্বান, বিভাগ, জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে এডভোকেসি সভার আয়োজন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে রুটিন টিকাদান কার্যক্রমে হাম-রুবেলা টিকা থেকে বাদপড়া শিশুদের শনাক্ত করে টিকা প্রদান করা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৭/তাহের/হাসান/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়