ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভোটের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার না করার আহ্বান

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২৭ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভোটের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার না করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোটের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।

স্মরণ সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, ভোটের স্বার্থে ধর্মের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ১৯৫৪ সালে যা আমরা বর্জন করেছিলাম, ২০১৭ সালে ক্ষমতার স্বার্থে সেই ধর্মকে আবার রাজনীতিতে টেনে আনা হচ্ছে। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে উচিত কথা বলা থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং মাথা নত না করে অন্যায়কে ‘নো’ বলার শক্তি বাঙালি জাতির ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে এবং বোকা বানাতে আবারও ৭১ সালের মতো ধর্মের অপব্যবহার শুরু হয়েছে। ন্যায়নীতি আর নৈতিকতাবোধকে জাগ্রত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপতৎপরতার জবাব দিতে হবে। আর এই কাজে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের সাহস, সততা ও প্রতিবাদী অনুপ্রেরণায় তরুণ সমাজসহ সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।

পেশাজীবীদের দলীয় পরিচয় দেওয়ার ব্যাপারে তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আইনজীবী হিসেবে আমি পরিচয় দেই যে, আমি এই দল করি। কিন্ত এসব পেশায় থেকে কোনো দলীয় পরিচয় দেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, বাঙালির সবচেয়ে বড় অস্ত্র তার বিবেক। বাংলাদেশের মানুষের বিবেক এবং বোঝার ক্ষমতা আছে। বাংলাদেশ কখনো দুই নম্বরীদের কাছে পরাজিত হতে পারে না। যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে হাসি মুখে জীবন দেয়, ওরা আজও আছে। অর্থ আর অস্ত্রের বলে বাঙালিদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। শাসক হিসেবে আজীবন শাসন ক্ষমতায় থাকবেন, এই কথা যারা ভাবে তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করে।

স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- আয়োজক সংগঠন সুজনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ব্র্যাকের ড. মির্জা আজাদ, সাবেক আমলা ও লেখক বদরে আলম খান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।   

সৈয়দ আবুল মকছুদ বলেন, কী কারণে মূর্তি সরানো হলো সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। রাতের বেলা স্থাপিত হয়েছে, রাতের বেলা সরানো হয়েছে। মূর্তির সরানো সরকারের ভেতরের অন্তর্নিতিহ দুর্বলতার প্রকাশ। দুর্বলতা না থাকলে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরানো যেত। এটা নষ্ট রাজনীতির একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।

স্মরণ সভায় বক্তব্য দেওয়ার পর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জের বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনের ভাস্কর্য অপসারণের মধ্য দিয়ে দেশকে বিলুপ্তির পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মে ২০১৭/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়