ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘কোটি নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার’

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ১৯ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘কোটি নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের এক কোটির বেশি নারী পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।

সোমবার বেইলি রোডস্থ বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠন ও বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনয়ের কর্মকর্তাদের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় আরো জানানো হয়, প্রাপ্তবয়স্ক  ১ কোটি ৩৪ লাখ নারী সাদা পাতা, জর্দা, গুলসহ নানাপ্রকার তামাক ব্যবহার করে। এছাড়া ৭ লাখ প্রাপ্তবয়সী নারী ধূমপান করে। ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীদের প্রায় ৩ শতাংশ তামাক ব্যবহার করে। ধূর্ত তামাক কোম্পানিগুলোর প্রতারণামূলক প্রচারণায় শহরাঞ্চলে তরুণীরা ধূমপানে আসক্তি হচ্ছে। নারীদের তামাক সেবন ও ধূমপানে নিরুৎসাহিত এবং পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাব থেকে সুরক্ষা প্রদান জরুরি।

অনুষ্ঠানে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ নারীদের লক্ষ্য করে তামাক কোম্পানির অবৈধ প্রচারণা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকি বলে আশংকা ব্যক্ত করা হয়।

বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের উপ-জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) প্রফেসর  ড. ইয়াসমিন আহমেদ, আঞ্চলিক কমিশনার রওশন আরা ইসলাম, জেনারেল সেক্রেটারি তানজিনা বিনতে মোশারফ, জনসংযোগ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবিনা বেগম, প্রশিক্ষক সালেহা বেগম, প্রশিক্ষণ কমিশনার রীতা জেস্মিন এবং জুনিয়র প্রশিক্ষক মোসা. কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলাম ও শারমিন আক্তার, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা কাজী হাসিবুল হকসহ তামাকবিরোধী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ড. ইয়াসমিন আহমেদ বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (ব্যবহার) নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের পর পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান ব্যবহার অনেক কমে গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তামাক কোম্পানির প্রচারণা ও প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব স্থানে তামাক কোম্পানির কার্যক্রম প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশ গালস্ গাইড জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাক নিয়ন্ত্রণে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।

সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো মূল লক্ষ্য মুনাফা। তাই তারা নারী-পুরুষ শিশুসহ সবাইকে তামাক ব্যবহারে আসক্ত করে মুনাফা বাড়াতে চায়। ইদানিং বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা মেয়েদের ধূমপানে আসক্ত করাতে প্রচারণা চালাচ্ছে। তরুণীরা কোম্পানির অবৈধ প্রচারণার ফাঁদে পড়ে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে। নারীদের লক্ষ্য করে কোম্পানির এই অবৈধ প্রচার বন্ধে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনের এগিয়ে আসতে হবে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জুন ২০১৭/হাসান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়