ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কড়া নিরাপত্তায় শোলাকিয়ায় লাখো মুসল্লির নামাজ আদায়

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৬ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কড়া নিরাপত্তায় শোলাকিয়ায় লাখো মুসল্লির নামাজ আদায়

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লাখো মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করেন।

সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ঈদুল ফিতরের ১৯০তম জামাতে ইমামতি করেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তিু ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

মোনাজাতের আগে ফরিদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, ‘এক সময় দেশে বামপন্থার নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। এখন ধর্মের নামে  হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ এগুলো গ্রহণ করেনি। কোনোদিন গ্রহণ করবে না।’

সব ভয়কে জয় করে ভোর থেকেই মুসল্লিরা শোলাকিয়া মাঠে যেতে থাকেন। সকাল ৯টার দিকেই পুরো মাঠ ভরে যায়। তবে কড়া নিরাপত্তা ও মোবাইল ফোন নিয়ে মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক মুসল্লিকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

শোলাকিয়ায় গত বছর জঙ্গি হামলা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার সেখানে নেওয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাঁচ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সদস্যের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

 


এ ছাড়া শহর ও মাঠে প্রবেশের পথগুলোতে বসানো হয় সিসি ক্যামেরা এবং ওয়াচ টাওয়ার। নামাজ শুরুর আগে পুরো মাঠ তল্লাশি করা হয়। শোলাকিয়া মাঠ ও শহরের সব গলিতে বসানো হয় নিরাপত্তা চৌকি।

শহরের মোড়ে মোড়ে নির্মাণ করা হয় শুভেচ্ছা তোরণ। রাস্তার দুই পাশে টাঙানো হয় রঙ-বেরঙের পতাকা ও ব্যানার। সব মিলিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।

সকালে দুটি বিশেষ ট্রেন ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে কিশোরগঞ্জে আসে। রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শটগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। জামাত শুরুর পাঁচ মিনিট আগে তিনটি, তিন মিনিট আগে দুটি এবং এক মিনিট আগে একটি গুলি ছুড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সংকেত দেওয়া হয়।

জনশ্রতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।

মুসল্লিদের বিশ্বাস- বেশি লোক একসঙ্গে নামাজ পড়ে প্রার্থণা করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। সে কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করতে আসেন।

 

 

রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/২৬ জুন ২০১৭/রুমন চক্রবর্তী/উজ্জল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়