ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বানভাসিদের মাঝে কেউ তো আসে না : মায়া

বাদশাহ সৈকত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ১৭ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বানভাসিদের মাঝে কেউ তো আসে না : মায়া

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বানভাসিদের মাঝে কেউ তো আসে না। ঢাকায় বসে ফাঁকা আওয়াজ দেয়। চিকিৎসার নাম করে বিদেশে গিয়া কি করে আল্লাহ-ই জানে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা, উনি জনগণের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ-সংগঠনসহ বিরোধীদলও সে মোতাবেক কাজ করছি।

সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চর শাখাহাতিতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ওরা কেউ কোনো জায়গায় উঁকি মেরে দেখেনি আমার এই বানভাসি মানুষ কিভাবে আছে। তারপরও অনুরোধ করব আসেন মানুষের পাশে দাঁড়ান। যদি কোনো অর্থ এবং ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন হয় আমার মন্ত্রণালয়কে বলেন আমি দিব। তারপরেও আসেন। টাকা দিব, চাল দিব, টিন দিব। আপনারা আসেন মানুষের পাশে দাঁড়ান।

তিনি আরো বলেন, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মিটিংয়ে আমরা এনজিওদেরকে অনুরোধ করেছি এই বানভাসি মানুষরা অনেক কষ্টে আছে। এই মুহূর্তে তারা যেন কোনো সুদ বা ঋণের কিস্তি না নেয়। এই অবস্থায় তারা যেন একটি বছর অপেক্ষা করে। এই অবস্থা দূর হলে তারা টাকা দিবেন। কোনোরকম চাপ সৃষ্টি না করার জন্য, জোর জবরদস্তি না করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস তারা অনুরোধটা রাখবেন।

মায়া বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর যাদের হাতে কাজ থাকবে না ৪০ দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তাদের কাজের ব্যবস্থা করব। যে সব ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে টিন ও নগদ টাকা দিয়ে ঘরবাড়ি মেরামত করে দেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। তাকে ঘর করে দিতে হবে। কোনো লোক না খেয়ে মারা যাবে না। তাকে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা উত্তর বঙ্গের বন্যা কবলিত সাতটি জেলা পরিদর্শন করে যা প্রয়োজন তা করা হবে। এসব মানুষের জন্য যা প্রয়োজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার চেয়ে বেশি দিতে বলেছেন।

এ সময় মন্ত্রী ত্রাণ হিসেবে এক হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, হাইজেনিক কীট ব্যাগ ও বিশুদ্ধ পানির জেরিকেন বিতরণ করেন।

মন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এমপি রুহুল আমিন, মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলীসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।



রাইজিংবিডি/কুড়িগ্রাম/১৭ জুলাই ২০১৭/বাদশাহ্ সৈকত /রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়