কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশ বেশি সচেতন
নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনে অন্যতম প্রধান উপাদান কার্বন নিঃসরণে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সরকার বেশি সচেতন বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অঙ্গীকারগুলোর বিষয়ে সরকারের চেয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলো ভালো জানে বলে মনে করে সংস্থাটি।
সোমবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কিত এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব মন্তব্য করেন।
‘জলবায়ু পরিবর্তন উপশমে স্বপ্রণোদিত অঙ্গীকার ও প্রতিপালন : দক্ষিণ এশীয় অভিজ্ঞতাভিত্তিক পদ্ধতিগত পর্যবেক্ষণ’ শিরোনামে গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন গবেষকদলের প্রধান ড. এ কে এনামুল হক।
এনামুল হক বলেন, ‘আমাদের সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ ৫ শতাংশ কমানোর অঙ্গিকার করেছে, তবে যথেষ্ট বিদেশি সহায়তা পেলে এটা ১৫ শতাংশ কমাতে চায় সরকার। সেই সহায়তা কোন কোন ক্ষেত্রে আনা যেতে পারে সেটি আমাদের গবেষণা রয়েছে। এ গবেষণায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর সহজ ১০টি প্রধান কৌশল উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- নগরে যানজট নিরসন, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, ইট ভাটায় জ্বালানি পরিবর্তন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধুনিকায়ন, শহরে বর্জ্য হতে জৈব সার উৎপাদন এবং গ্রামে উন্নত চুলার ব্যবহার বাড়ানো।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ বা কমানোর মূল দায়িত্ব সরকারের। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষেরও দায় রয়েছে। কার্বন নিঃসরণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সরকার বেশি সচেতন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধের বিষয়ে সরকারের চেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো জ্ঞান রাখে। তবে যে উদ্যোগের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব, তা খুবই ব্যয়বহুল। তাই সরকারি উদ্যোগটা বেশি প্রয়োজন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কার্বন নিঃসরণে বিদেশি সহায়তা পেতে প্রতি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। দেশে সুশাসনের মূল উপাদান না থাকলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে।
এ সময় গবেষণা দলের সদস্য- ড. প্রণব মুখোপাধ্যায়, ড. মানি নেপাল, ফাতিমাত শফিকা ও ড. হেমান লোহানা উপস্থিত ছিলেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুলাই ২০১৭/এম এ রহমান/এসএন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন