ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘তরুণদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে’

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৫, ২৬ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘তরুণদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ। তাদের অবশ্যই যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’

বুধবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ  (আইডিইবি) মিলনায়তনে ‘রিজিওনাল কনফারেন্স অন টিভিইটি ফর গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে তারা দেশে ও বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাবে। তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করতে না পারলে বাংলাদেশ তরুণ শ্রমশক্তির সুবিধা নিতে পারবে না।’ 

কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজ (সিপিএসসি), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং আইডিইবি যৌথভাবে কারিগরি ও  ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) বিষয়ক এ আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত তিন দশক ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বৈশ্বিক শ্রমশক্তি সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু যথাযথ দক্ষতার অভাবে তারা শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। যা এ অঞ্চলের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রে কারিগরি ও  ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ। এ জনসংখ্যার বড় অংশই তরুণ। এদের সঠিক কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিতে পারলে তারা দেশে ও বিদেশে কাজের সুযোগ পাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘টিভিইটি বাংলাদেশে অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার। এর প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ শিক্ষায় গত আট বছরে ভর্তির হার শতকরা ১ ভাগ থেকে ১৪ ভাগে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৪২০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরো ১ হাজার ১৫০ জনকে সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চীনে ৫৮১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে টিভিইটি শিক্ষায় ভর্তির হার ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (টিএসসি) স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ১০০টি টিএসসি নির্মাণের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ধাপে ৩৮৯টি টিএসসি নির্মাণ করা হবে।

তিনি আরো জানান, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় ভর্তির হার ২০২০ সালের মধ্যে ২০ ভাগে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগে উন্নীত করতে দেশে আরো ২৩টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং আটটি টিএসসি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজের (সিপিএসসি) মহাপরিচালক ড. রামহরি লামিচানে, আইডিইবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম এনামুল হক বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সিপিএসসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুলাই ২০১৭/ইয়ামিন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়