ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শিল্প কারখানায় ইটিপি স্থাপন ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশ

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২৬ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিল্প কারখানায় ইটিপি স্থাপন ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশ

সচিবালয় প্রতিবেদক : শিল্প কারখানায় ইটিপি স্থাপন এবং এর ব্যবহার অনলাইনে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে মন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। অধিবেশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং খাদ্যমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুদ্দোজা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ যুগোপযোগী করা এবং একই সঙ্গে এ আইনের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এছাড়া দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর বাসোপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের জন্য তিনি ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ দিক নির্দেশনায় একটি উন্নত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, বনভূমির সম্প্রসারণ, বন ও বনজ সম্পদের উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, উদ্ভিদ সনাক্তকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, পরিবেশ দূষণরোধ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, রাবার উৎপাদন এবং টেকসই পরিবেশ উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কালের বিবর্তনে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বনজ সম্পদের ওপর চাপ বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৬ লক্ষ হেক্টর। দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১৭ দশমিক ৬২ ভাগ বনভূমি। এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে চলতি ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে বনায়ন ও বন সংরক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

তিনি বনভূমি, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ১৯২৭ সালের বন আইনের ৪ ও ৬ ধারায় প্রকাশিত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভূক্ত এমন সকল বনভূমিকে ২০ ধারায় সংরক্ষিত বন ঘোষণার প্রক্রিয়া গ্রহণের লক্ষ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে দ্রুত প্রস্তাব পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন।

বনভূমি সংরক্ষণের স্বার্থে জেলা প্রশাসকদের নিয়ন্ত্রনাধীন ১নং খতিয়ানের বন শ্রেণিভুক্ত জমি লিজ বা বন্দোবস্ত না দেওয়ার জন্যও তিনি জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেন।

প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় কাটা রোধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। 

তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে নির্মিত ঘরবাড়ি বা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে পাহাড়ে প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনা রোধ করতে হবে। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় নজরদারি বাড়াতে হবে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুলাই ২০১৭/নঈমুদ্দীন/হাসান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়