ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বোরো চাষ, ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩১, ১৬ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বোরো চাষ, ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বোরো চাষ ও ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদেশ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সরকারের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার বন্যা ও ধানের ব্লাস্ট রোগসহ নানা কারণে বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি। এবার বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৯১ লাখ মেট্রিক টন। একইভাবে চাল ও ধান সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটাও পূরণ হয়নি। চলতি মৌসুমে মোট ৮ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু সেটাও সংগ্রহ করা যায়নি।

তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বন্যাসহ অন্যান্য কারণে লক্ষ্যামাত্রার প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এখানে যেভাবে বন্যা আসছে, তাতে সামনে বিপদের আশঙ্কা আছে। পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমরা ১৫ লাখ টন চাল ও ৫ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, চাল আমদানি উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

তিনি আরো জানান, ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল আসছে। কম্বোডিয়া থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমাদানির চুক্তি হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির অনুমোদনের পরপরেই এসব চাল আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাছাড়া উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সাড়ে ৩ লাখ টন চাল আমদানি করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে। চলতি অর্থবছরে মোট ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির মাধ্যমে মজুদ করা হবে।

খাদ্যসংকট আছে কি না, জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্যসংকট নেই। খাদ্য মজুদের পরিমাণ খুবই ভালো। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চাল আমদানিতে যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ভারত থেকে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার টন চাল ও অন্যান্য দেশ থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টন গমও এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমাদের এ খাদ্য সংগ্রহ অভিযান। অতিমাত্রায় সাবধানতা অবলম্বন করায় আমাদের বাড়তি আমদানি করতে হচ্ছে। আমদানির অর্থ এই নয় যে সংকট রয়েছে। 

বাজারে চালের দাম কমছে না কেন? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চালের দাম একবারে ১০ থেকে ২০ টাকা কমবে, এমন প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। দাম সবার ক্রয়সীমার মধ্যে আছে। দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো হা-হুতাশ নেই।

পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে দেশে ৫০ লাখ পরিবারের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কর্মসূচি শুরু হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ আগস্ট ২০১৭/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়