ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল চায় জমিয়তে ইসলাম

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল চায় জমিয়তে ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন, সব দলের সমান সুযোগসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংলাপে এসব দাবি তুলে ধরে দলটি। মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন।

সংলাপে দলটির মহাসচিব মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে।

সংলাপ শেষে মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী সাংবাদিকদের জানান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে অতীতের নির্বাচনে কারচুপি ও পেশীশক্তির ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই আমরা মনে করি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুর্নবহাল করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ গ্রহণে জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ইসি কমিটিতে যে ৩৩ শতাংশ নারী কোটা নির্ধারণ করেছে এটাকে অনধিকার চর্চা হিসেবে মন্তব্য করে নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, এটি দলগুলো নিজেদের প্রয়োজনেই করবে। সেখানে কত নারী সদস্য হবে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অন্য দাবিগুলো হলো- নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অবাধ সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার পরিবেশ তৈরিতে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ গ্রহণ করা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে অবৈধ ভোটার থাকলে তা বাদ দেওয়া, অবৈধ ও কালো টাকার মালিকেরা নির্বাচনে যেন  অংশগ্রহণ করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা, নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা এবং এক বছর আগে সকল সংস্থা ও কর্মীদের নাম পরিচয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা, সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা।

এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রর্থীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণে উৎসাহিত করতে ভোটারদের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর নমিনেশন পেপারের সঙ্গে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার আইন বিলুপ্ত করা, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা, প্রবাসীদের ভোটারধিকার নিশ্চিত করা, মানোনয়নপত্র জমা দেওয়া ও নির্বাচনের তারিখের মধ্যে অন্তত ৪০ দিন সময় রাখা।

২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৬ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। রোডম্যাপ অনুযায়ী এ সংলাপ হচ্ছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হাসিবুল/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়