ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ইসির কাছে আওয়ামী লীগের ১১ প্রস্তাব

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১৮ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইসির কাছে আওয়ামী লীগের ১১ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধকল্পে বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত নির্বাচনসংক্রান্ত নির্দেশনা এবং বিদ্যমান নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা নিরপেক্ষ ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে ইসির সঙ্গে সংলাপ শেষে এই প্রস্তাবের কথা সাংবাদিকদের জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংলাপে তারা ১১টি প্রস্তাব রাখে ইসির কাছে।

নির্বাচনের দিন ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকল গণমাধ্যমকর্মীদের নির্বাচনী বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য কার্যকর নির্দেশনা প্রদান, গণমাধ্যমকর্মীদের উপযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদান ও দায়িত্ব-কর্ম এলাকা নির্ধারণ করারও প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

সংলাপে দেওয়া আওয়ামী লীগের ১১ প্রস্তাব হলো-

১। আরপিও-১৯৭২ ও দ্য ডিলিমিটেশন অব কনস্টিটিউশনস অর্ডিনেন্স, ১৯৭৬ এর বাংলা প্রশংসনীয়। আওয়ামী লীগের সমর্থন থাকবে। আরপিও ৯৪/এ অনুসরণযোগ্য।

২। নির্বাচনে অবৈধ অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধকল্পে সংবিধানে বর্ণিত নির্বাচনসংক্রান্ত নির্দেশনা ও বিদ্যমান নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা নিরপেক্ষ ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

৩। প্রজাতন্ত্রের কর্মে ও নির্বাচনী দায়িত্বে ব্যক্তি সংস্থার অপেশাদার ও দায়িত্বহীন আচরণে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা।

৪। বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পরিবর্তে প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ করা।

৫। নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের বাছাই করে সংশ্নিষ্ট রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের একটি চূড়ান্ত প্যানেল প্রণয়ন করা। প্রয়োজনে আরপিও এর প্রয়োজনীয় সংশোধন করা।

৬। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতা নিয়োগ। বিশেষ দল বা ব্যক্তির প্রতি আনুগত্যশীল ব্যক্তি বা সংস্থাকে দায়িত্ব না দেওয়া।

৭। সাংবাদিকদের নির্বাচনী বিধিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা। গণমাধ্যম কর্মীদের উপযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদান ও দায়িত্বকর্ম এলাকা নির্ধারণ।

৮। প্রার্থীদের নিয়োজিত পোলিং এজেন্টদের তালিকা ছবিসহ নির্বাচনের তিন দিন আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রদান। প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক নিশ্চিত করে কেন্দ্রে প্রবেশ ও ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র অবস্থান নিশ্চিত করা।

৯। সুষ্ঠু নির্বাচনে বর্তমান বিধিবিধানের পাশাপাশি আধুনিক রাষ্ট্রসমূহের মতো ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা।

১০। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব দেওয়া। প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলার কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব দেওয়া আইন ও সাংবিধানিক নিয়মের সাংঘর্ষিক। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কোন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়োগ করা যাবে তা ফৌজদারি কার্যবিধি ও সেনা বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব দিলে তাদের মর্যাদা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

১১। নতুন আদমশুমারি ব্যতীত নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সীমানা পুনর্নির্ধারণে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ অক্টোবর ২০১৭/হাসিবুল/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়