ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘দেশের সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২২, ১৮ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘দেশের সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, দেশের সব অর্জন ‘আওয়ামী লীগের হাত ‘ধরেই’ এসেছে। এই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে এবং বেশ কয়েকজনের রায়ও কার্যকর করেছে।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসির সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। এরই ধারবাহিকতায় বুধবারের এই বৈঠক হয়। এ পর্যন্ত ৩৮টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে  ইসি।

সিইসি নুরুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে দেশের ‘প্রাচীন ও ঐতিহাসিক দল’ আওয়ামী লীগের আত্মপ্রকাশ থেকে এখনকার কর্মকাণ্ড এবং এ দলের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন।

সিইসি বলেন, আজকে যে সংলাপের আয়োজন করেছি তার সবই বর্তমান সরকারের সার্বিক অবদান। আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে থেকে শিক্ষা নেওয়া, দীক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, যেকোনো দলের সঙ্গে সংলাপের আগে সংশ্লিষ্ট দলের প্রোফাইল তুলে ধরা হয়। এর ধারবাহিকতায় আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ তিনি তুলে ধরছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব কাঁধে নেন। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন; কূটনৈতিক সাফল্যে বহু দেশের আনুকূল্য, সমর্থন অর্জন করেন। নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১৯৭৩ সালে জাতিকে প্রথম সংসদ নির্বাচন উপহার দেন এবং স্বাধীন দেশে প্রথম সংসদীয় সরকার গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর সময়ে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ রেকর্ড অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।

নুরুল হুদা বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালো রাতে জাতির জনককে সপরিবারের হত্যার মধ্যে দিয়ে জাতির জীবনে ‘কালো অধ্যায়ের’ সূচনা হয়। ‘জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে কঠিন সময় পার হতে হয়েছে।

১৯৮১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং একই বছর তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বহু বাধা বিপত্তি, প্রতিকূলতা, ভয়ঙ্কর সব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দলকে সুদৃঢ় অবস্থানে নিয়ে আসেন তিনি। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিন দফা সরকার গঠন করেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়, রায় কার্যকর করা হয়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা কূটনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্বমাতৃকার আসন অলংকৃত করেছেন।

নির্বাচন কমিশন যেসব আইন ও বিধি বিধানে পরিচালিত হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের বহু দেশের নির্বাচন কমিশনের চেয়ে এ দেশের কমিশন বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। যা আওয়ামী লীগ সরকার প্রদান করেছে।

নির্বাচন কমিশনকে সামনে এগিয়ে যেতে ও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সুপারিশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ অক্টোবর ২০১৭/মিথুন/সাইফ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়