ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রংপুর সিটি নির্বাচন ২১ ডিসেম্বর

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ৫ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রংপুর সিটি নির্বাচন ২১ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার দুপুরে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২২ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই হবে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৪ ডিসেম্বর।

সিইসি নুরুল হুদা তফসিল ঘোষণা করে জানান, রসিক নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

নুরুল হুদা বলেন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের বিধিবিধানে যা আছে সেগুলোর আলোকে নির্বাচন করবো।

রসিক নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে পরিকল্পনা আছে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো ইভিএম ব্যবহারের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সিমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করবো।

ইভিএম মেশিন পুরনোটা ব্যবহার করা হবে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নতুন মেশিন ব্যবহার হবে এটা’।

এর আগে ইভিএম ব্যবহারে কিছু ভুলও ধরা পরেছিল এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা বিবেচনায় রেখেই আমরা ইভিএম ব্যবহার করবো। ভুল যেন আর না হয়। নির্ভুলভাবে ও গ্রহণযোগ্যভাবে যেন ব্যবহার করা হয়। আমরা ইভিএম ব্যবহারে ঝুঁকি নিব না। ভুল-ভ্রান্তির আশঙ্কা থাকলে আমরা ঝুঁকি নিব না।’

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসি ক্যমেরা ব্যবহার করা হবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, ‘এটা একটু ব্যয়বহুল। আমরা সীমিত আকারে সিসি ক্যমেরা ব্যবহার করতে চাই। যে সমস্ত কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ কেবলমাত্র সেসব কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।

প্রার্থীদের পোস্টারে রংপুর ছেয়ে গেছে অনেক প্রার্থী তফসিল ঘোষণার আগেই আগাম ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছে এমন অভিযোগের ব্যপারে সিইসি বলেন, ‘এটা এখন সিদ্ধান্ত নেইনি। কমিশনের সঙ্গে বসতে হবে। কি অবস্থায় আছে সেটা আমরা দেখবো। কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’

সিইসি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্বে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিইসি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পরিচালনার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রংপুর অঞ্চলে ৪ জন জেলা নির্বাচন অফিসার ও ৭ জন উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এ নির্বাচনে মনোনয়ন বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৪টি কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার রংপুরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে রংপুর সিটি নির্বাচন এলাকার যেসব সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারসামগ্রী প্রচার করেছিল যেমন বিলবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, ইত্যাদি সেগুলো গত ২ নভেম্বরের রাত ১২টার মধ্যে সরানো নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনে এটা দ্বিতীয় নির্বাচন। দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়া যাবে। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। নির্বাচনে জয়ী হয়ে রংপুর সিটির প্রথম মেয়র হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।

এ সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৭টি।

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ নভেম্বর ২০১৭/হাসিবুল/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়