ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘নির্বাচনে জামায়াতের চিহ্নিত নেতাদের অংশ নিতে দেওয়া হবে না’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ১৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘নির্বাচনে জামায়াতের চিহ্নিত নেতাদের অংশ নিতে দেওয়া হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর চিহ্নিত নেতাদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

হাইকোর্টের আদেশে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নিবন্ধন বাতিল করার কার্যক্রম বন্ধ আছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাদের অনেকের বিচার হয়েছে। তাদের যদি কোনো সংসদ সদস্য বা কোনো নেতা অন্য কোনো দলের হয়ে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে আসে, সেটা গ্রহণ করবেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, সেটা আমি কেমন করে বলব? তবে জামায়াতে ইসলামীর চিহ্নিত যারা আছে তাদেরকে আমরা নির্বাচনে গ্রহণ করব না।

তিনি আরো বলেন, স্বতন্ত্র হিসেবেও যদি জামায়াতের কেউ নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে নির্বাচন কমিশনের মিটিংয়ে ইনডিভিজুয়ালি তাদের বিষয়টা বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেব। একজন একটা ধুয়া তুলল যে, এটা জামায়াতের লোক, তাহলে সেটার বিষয়ে আমি কেমন করে বলব। কোনো অভিযোগ পেলে সেটি কমিশন আগে পর্যালোচনা করে দেখবে। জামায়াতের সবাই তো চিহ্নিত না। যারা চিহ্নিত তাদেরকে অবশ্যই নির্বাচনে গ্রহণ করা হবে না।

বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছে। তারা বলছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এ বিষয়ে ইসি কী মনে করে? এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করার শপথ নিয়েছেন। সে শপথ নিয়ে এসে দায়িত্ব পালন করব না, তা হয় না। সংবিধান অনুযায়ী সংবিধান সমুন্নত রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, নতুন দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সব শর্ত পূরণ করা হচ্ছে কি না, ইসি তা কঠোরভাবে দেখবে। দোকান ভাড়া নিয়ে বলে দেবে দলীয় কার্যালয়, তা হবে না। 

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্ভবত আদম শুমারির সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এবার কিছু ছিটমহল যুক্ত হয়েছে। ইসি তাদের বাদ দিয়ে চিন্তা করবে না। সেক্ষেত্রে সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি চলে আসতে পারে।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রশ্নে মাহবুব তালুকদার বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, সেনাবাহিনী থাকাটা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ। তবে এ বিষয়ে ইসি এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। দেশের অবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, পরিবেশ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। সময়ই বলে দেবে কীভাবে সেনাবাহিনীকে রাখা হবে। ইসি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। ইসি বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়ে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে।

মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, সিআরপিসিতেও বলা আছে সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার কোথাও গণ্ডগোল দেখলে আইনের আওতায় আনতে পারবেন। সে হিসাবে ইসি কোথাও সীমিত হয়ে পড়ছে না। 

মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনের একটা অনুসঙ্গ হচ্ছে যারা হেরে যায় তারা প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাদের দায়-দায়িত্ব জনগণের কাছে। যদি নির্বাচনের কোনো প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হই, আমরা সেটা ভয় করি না। দেশের মানুষ যদি বোঝে, আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি, সেটা যদি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে তাহলে আমি মনে করব আমরা যা চেয়েছি তাই হয়েছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশব্যাপী ইভিএম ব্যহর করা সম্ভব হবে না।




রাইজিংবিডি/ ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৭/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়