ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সংসদে সেনানিবাস আইন উত্থাপন

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১১, ১৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সংসদে সেনানিবাস আইন উত্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯২৪ সালের তৈরি ক্যান্টনমেন্ট আইন আরো যুগোপযোগী করতে সেনানিবাস আইন-২০১৭ নামে একটি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন। পরে তা যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এজন্য কমিটিকে সময় দেওয়া হয়েছে ৩০ দিন।

বিলটি উত্থাপনের আগে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির  দলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম। পরে কণ্ঠভোটে তার আপত্তি নাকচ হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট-১৯২৪ দ্বারা সেনানিবাসগুলোর প্রশাসন পরিচালিত হয়ে আসছে।

দেশে প্রচলিত ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ইংরেজি ভাষা প্রণীত আইনগুলো বাংলায় ভাষান্তর সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং সময়ের ব্যাপ্ত পরিসরে পরিবর্তিত পরিপ্রেক্ষিতে ও প্রেক্ষাপটে বিবেচনায় বিদ্যমান ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট-১৯২৪ হালনাগাদ করে সেনানিবাস আইন-২০১৭ এর খসড়া প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট, ১৬ সেপ্টেম্বর, ১০ নভেম্বর, ১৮ নভেম্বর এবং ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল আন্তমন্ত্রণালয় সভার মতামতের আলোকে সেনানিবাস আইন-২০১৭ শীর্ষক আইনের একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিধ্যমান আইনে ২৯২টি ধারা রয়েছে। যার কিছু ধারা অনাবশ্যক বিবেচনায় বর্জন করা হয়েছে। কিছু নতুন ধারা আবশ্যক বিবেচিত হওয়ায় সংযোজন করা হয়েছে। এভাবে প্রস্তাবিত সেনানিবাস আইন-২০১৭ তে ১৬টি অধ্যায়ে মোট ২১৮টি ধারা রাখা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনের খসড়া দ্বারা প্রধানত বিদ্যমান আইনকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে অন্য বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরকে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সামরিক আবাসিক প্রকল্পকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ৯০ বছর আগে নির্ধারিত বিভিন্ন ফি ও জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে বিলটি সংসদে উত্থাপনের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, বিলের নামটি স্পর্শকাতর। তাই বেশি কথা বলা যাবে না। বিলটি ঘণ্টাখানেক আগে পেয়েছি। তাই পুরোটা পড়ার সময় পাইনি। যতটুকু দেখেছি তাতে দেখেছি বিল রহিত ও সংশোধন না করে কেবল সমন্বয় করা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব তা আমার বোধগম্য নয়। আইনমন্ত্রী বিষয়টি আরো ভালো জানেন।

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিলটি আগে ইংরেজিতে ছিল। এখন তা বাংলায় ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। বিলটি রহিত করারও বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে তিনি আপত্তি উত্থাপন করতে পারেন। সেখানে আমরা জবাব দিতে পারব।

এছাড়াও সংসদে ১৯১০ সালের তৈরি ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট রহিত করে সংশোধনসহ বিদ্যুৎ বিল-২০১৭ নামে আরো একটি বিল উত্থাপন করা হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই বিল উত্থাপন করেন। এ বিলেও আপত্তি জানান ফখরুল ইমাম। তিনি বিলটিকে কালো আইন বলে উল্লেখ করেন। পরে কণ্ঠভোটে তার আপত্তি নাকচ হয়ে যায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৭/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়