ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে ৩০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে যুক্তরাষ্ট্র

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২৩ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কেরানীগঞ্জে ৩০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে যুক্তরাষ্ট্র

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে ভ্রাম্যমাণ ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য পানগাঁওয়ে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনালের (আইসিটি) পাশে ২৪ একর জমি পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এপিআর এনার্জি কোম্পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পানগাঁওয়ে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে আমাদের কাছে জায়গা চেয়েছিল। এটা হবে মোবাইল প্ল্যান্ট, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জায়গাটা তাদের আমরা দিয়েছি। এপিআর এনার্জি নামের একটি কোম্পানি এটি করবে। পানগাঁওয়ে আইসিটির পাশেই এই জায়গা অব্যহৃত অবস্থায় আছে। শিগগিরই আমরা এই জায়গাটা ডেভেলপমেন্ট করব এবং তারা ৫ বছরের জন্য আমাদের এই জায়গাটা লিজ নেবে।’

নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হলে ৩০০  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা পাব। বিদ্যুৎ উপাদনের জন্য এখানে ৫০০ ভ্রাম্যমাণ কন্টেইনার বসবে। এই বিদ্যুৎ আমাদের গ্রিডে যুক্ত হবে।

এর আগে নৌপরিবহনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সমুদ্রবন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, বন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে নিরাপত্তা আরো কীভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে কথা বলেছেন। আমরা সেটা দেখে করণীয় ঠিক করব।

‘আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) যুক্তরাষ্ট্র এ ক্যাটাগরির সদস্য। আর আমরা (বাংলাদেশ) বি ক্যাটাগরির সদস্য। আমরা আইএমওতে তাদের সমর্থন চেয়েছি, তারাও আমাদের সাপোর্ট পাবে।’

বন্দরের নিরাপত্তা বিষয়টি কেন আলোচনায় জানতে চাইলে নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ বলেন, ‘সিকিউরিটি চেক করা আইএমওর একটি শর্ত। আইএমও ইউএস কোস্টগার্ডকে দায়িত্ব দেয়। তারা বিভিন্ন পোর্টগুলো ঘুরে কমপ্ল্যায়েন্স পরিস্থিতি চেক করে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে তারা একবার এসেছিল।’

এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবালসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ নভেম্বর ২০১৭/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়