ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

আগুন পোহাতে গিয়ে প্রাণ হারাল ৫ জন: দগ্ধ ৪৬

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ১০ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আগুন পোহাতে গিয়ে প্রাণ হারাল ৫ জন: দগ্ধ ৪৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ নারী। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যন্ত্রনায় ছটফট করছে প্রায় অর্ধশত নারী-শিশু। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত ৬ থেকে ১০ জানুয়ারি বুধবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের সময়  আগুন পোহাতে গিয়ে এসব ঘটনা ঘটে।

রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, বেশ কদিন থেকে রংপুর অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ অবস্থা। শীতের হাত থেকে রক্ষিা পেতে গ্রামগঞ্জের সর্বত্রই আগুনের উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে অনেকে। ফলে আগুন পোহাতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। গত পাঁচ দিনে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মারা গেছেন পাঁচজন। ২৬ সিটের বার্ন ওয়ার্ডে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৬ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী।



আগুনে যারা মারা গেছেন তারা হলেন- মনি বেগম (৭৫), খোরশেদ (৩), ফাইজন নেছা (৯৯), শাম্মি আক্তার (১৩) ও ফাতেমা বেগম (৫০)। এদের সবার শরীরের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

বুধবার দুপুরে রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসা নিচ্ছে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার জহুরা বেগম (৪০)। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মজিরন নেছার(৫০) ১৬ শতাংশ, রংপুরের মিঠাপুকুরের মরিয়ম বেগমের (৫২) ২০ শতাংশ, নুরুন নাহার বেগমের (৬০) ৪২ শতাংশ, আরিফা আক্তারের (৩৫) ৬৮ শতাংশ, তমার (২০) ১৬ শতাংশ, শিশু তাসনিমের (৫) ২০ শতাংশ, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের আসমা বেগমের ২৬ শতাংশ আগুন পোহাতে গিয়ে পুড়ে গেছে। তার সবাই যন্ত্রণায় ছটফট করছে।

এদিকে আজ বুধবার সকালে ভর্তি হয়েছে আরো কয়েকজন। এর মধ্যে রংপুরের পীরগঞ্জের আব্দুর রউফের পাঁচ বছরের কন্যা রুমানার ২৩ শতাংশ, কাউনিয়া উপজেলার মোফজ্জাল হোসেনের স্ত্রী লাবনি বেগমের ৩০ শতাংশ, নীলফামারীর লক্ষিণ চন্দ্রের স্ত্রী রাধারানীর ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। বার্ন ইউনিটে বেড সংকট দেখা দেওয়ায় অনেক রোগীকে বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।



রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এত নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা আগে ঘটেনি। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।



রাইজিংবিডি/রংপুর/১০ জানুয়ারি ২০১৮/নজরুল মৃধা/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়