ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ক্রিকেট ছাড়া নিঃশ্বাস নেয়াই কঠিন

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২১, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্রিকেট ছাড়া নিঃশ্বাস নেয়াই কঠিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই আছেন তিনি। কখনো ম্যানেজার, কখনো কোচ কখনো বা অন্য দায়িত্বে। খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচ কিংবা টিম ডিরেক্টর- খালেদ মাহমুদ ‍সুজন কখনো পিপলস চয়েজ হতে পারেননি। যতোই তিনি ভালো দায়িত্ব পালন করেন কিংবা নিঃস্বার্থ থাকেন; পাছে তার সমালোচনা হচ্ছেই। তবে এসব বিষয় নিয়ে আক্ষেপ নেই সুজনের। তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে না। তিনি তো ক্রিকেট ছাড়া নিঃশ্বাসই নিতে পারবেন না। ক্রিকেটই তার সব কিছু। ক্রিকেটই তার জীবিকা।

আজ মিরপুরে পিপলস চয়েজ হতে না পারার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আসলে। আমার জন্য আসলে এটা একটা সুযোগ। ২০০৩ সালে আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, ওই সময়টা খুব কঠিন ছিলো। তখন দলটাকে এক করার একটা কাজ ছিল আমার। দায়িত্বটা অনেক বেশি ছিল আমার। সে তুলনায় এখন কাজটা অনেক সহজ। কারণ এখন আমি অভিজ্ঞ। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমার অভিজ্ঞতা কম। কিন্তু গত তিন চারটা বিপিএলে কাজ করে, চাপ নেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি মনে করি জাতীয় দলের চেয়ে বিপিএলে চাপ বেশি থাকে। জাতীয় দলে পরীক্ষিত ক্রিকেটার আছে। যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপটের সাথে খেলেছে। তারা এগিয়ে যাচ্ছে— সত্যি কথা বলতে গেলে। আজকে তামিম যেভাবে ব্যাটিং করে, এটা তো আমরা বলতেই পারি যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেরা কয়েকজন ব্যাটসম্যানের কথা বলতে হলে তামিমের কথা বলতেই হবে। ক্রিকেটার যারা আছে, তারা ছোট থাকতেই তাদের সঙ্গে কাজ করেছি। সুতরাং এই কাজটা আমার জন্য সহজ। আমি জানি না, আসলে কতোটা কী করতে পেরেছি। বেশি কিছু অবশ্য করারও ছিল না। সিনিয়রদের সাথে বেশি কাজ করিনি। কারণ তারা তাদের কাজটা খুব ভালো জানে। কিন্তু তরুণ যারা আছে, তারা যদি পারফর্ম করা শুরু করে, আমি মনে করি আমাদের দলটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি বোর্ড রুমে ঢুকি, তখন আমি বোর্ড ডিরেক্টর থাকি। আমাকে অন্য যে দায়িত্ব দেয়া হয়, আমি তা চেষ্টা করি ভালোভাবে করতে। পারি বা না পারি, সফল হই বা না হই, সেটা অন্য ব্যাপার। আমি কোনো বিতর্কে যেতে চাই না। আমি মনে করি কোচিং আমার পেশা। আমি এটা উপভোগ করি। ২০০৬ সালে খেলা ছাড়ার চার মাস পর থেকেই আমি কোচিং শুরু করি। অনূর্ধ্ব-১৩ পর্যায় থেকে সব পর্যায়েই আমি কোচিং করিয়েছি। সুতরাং আমার কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আমি ভালো কোচ নাকি খারাপ, তা মানুষ বলবে। কিন্তু আমি কোচিং করানোটাই আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমি টিম ম্যানেজার ছিলাম, তখন এটাকেই লাভবান মনে করা হয়েছিল। আমি জানি না, সেটা কতোটা হয়েছিল। আমার যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও আছে, যেহেতু আমি বাংলাদেশ দলে খেলেছি। অধিনায়কও ছিলাম এক সময়। সুতরাং কিছু অভিজ্ঞতা ছিলই। কিন্তু আমি যখন ৮৩ বা ৮৪-এর দিকে ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন থেকে একটা দিনের জন্যও আমি ক্রিকেটের বাইরে থাকিনি। ক্রিকেটই আমার সব কিছু। ক্রিকেটই আমার জীবিকা। ক্রিকেট ছাড়া আসলে নিঃশ্বাস নেয়াই কঠিন।’
 


বাংলাদেশ দলের নতুন দায়িত্বে এখন খালেদ মাহমুদ সুজন। টিম ডিরেক্টর তিনি। নতুন দায়িত্ব চাপের কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাপের কিছু নাই। এর চেয়ে বেশি চাপ আমি নিয়েছি। আমার কাছে তাই এটাকে চাপ মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় একটা সুযোগ আমার জন্য। যাদের সঙ্গে আমি কাজ করছি, এরা আমার চেনা। তারা সবাই খুবই সহায়তাপরায়ণ। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও আমি সাড়ে তিন বছর কাটিয়েছি। প্লেয়ারদের মধ্যে মাশরাফি তো বলতে গেলে আমার টিমমেটই। সুতরাং আমার জন্য এদের সঙ্গে করা সহজই।’
 





রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জানুয়ারি ২০১৮/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়