ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘অপরাধীদের আটক করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘অপরাধীদের আটক করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অপরাধীদের আটক করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর ( পিরোজপুর-৩) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে ল’ফুল ইন্টারসেপশন সেল (এলআইসি) গঠন করা হয়েছে। এ সেল মোবাইল ট্র্যাকিং করে অপরাধ ও অপরাধীদের শনাক্তকরণে কাজ করে যাচ্ছে। সিআইডি ঢাকায় একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং আইটি ফরেনসিক শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ওই ল্যাবে আন্তর্জাতিক মানের আইটি ফরেনসিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজিটাল আলামত পরীক্ষা করা হয়। ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যার ব্যবহার করে অপরাধীদের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে কোনো থানায় অপরাধী ধৃত হলে সে সংক্রান্ত অন্য কোনো থানা খুব সহজেই জানতে পারে। এছাড়া কোনো অপরাধী জামিনে মুক্ত হয়ে নতুন কোনো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে কি না তা সহজে বুঝতে পারা যায়।

মন্ত্রী বলেন, এ সকল চিহ্নিত জটিল সমস্যা সমাধানে বায়োমেট্রিক তথ্যসহ অপরাধীর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে, যা এসআইভিএস (সাসপেক্ট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম) ডাটাবেজ নামে পরিচিত। এই সিস্টেমে অপরাধীকে খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে এ প্রযুক্তি ডিএমপিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট ও ডিজিটাল ডর্কেটিং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে অপরাধ ও অপরাধীদের শনাক্তকরণে থানাসমূহ সিআইডি, ডিএমপি ও পিবিআইর সহায়তা নিয়ে থাকে।

সংসদ সদস্য কাজী রোজির (সংরক্ষিত আসন-৪১) এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুবসমাজ খুব সহজেই হাতের কাছে মাদক দ্রব্য পেয়ে যাচ্ছে। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। তারপরেও মাদক আসছে। এত ছোট জিনিসি যে এটা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। এমপি, জনপ্রতিনিধি, সুশীলসমাজ, এনজিও, ইমাম- সবাইকে বলেছি এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। আমরা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ও প্রশাসনিক কঠোরতা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে মাদক নির্মূল করব। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের যে জিরো টলারেন্স নীতি, সেটা আমরা অব্যাহত রেখে সফল হব।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জানুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়