ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খাদেম হত্যা মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খাদেম হত্যা মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় ১৩ জঙ্গির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার মামলার বাদীসহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে ৩১ জানুয়ারি।

এরআগে ২৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আগামী ৩১ জানুয়ারি ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা সবাই জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।  

তদন্ত শেষে পুলিশ জেএমবির ১৪ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। যার মধ্যে পঞ্চগড়ের নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান ২০১৬ সালের ১ আগস্ট রাজশাহীতে এবং কুড়িগ্রামের সাদ্দাম হোসেন ২০১৭ সালের ৫ জানুযারি ঢাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

গত বছরের ১৬ আগস্ট শুনানি শেষে বিচারক নিহত দুই জঙ্গিকে বাদ দিয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের পর মামলার বাদী নারাজি এনে পুনঃতদন্তের দাবি জানালে আদালত বাদীর আবেদন খারিজ করে দেন। পরে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত পুনঃতদন্ত করে ৪০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশ হেড কোয়াটার, রংপুরকে নির্দেশ দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার পুনঃতদন্ত শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর ১৩ জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরমধ্যে বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি নামে এক জঙ্গিকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিশেষ জজ আদালতের পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন সবাই জেএমবির সদস্য। ১৩ জন আসামির মধ্যে ১১ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

গ্রেপ্তার জঙ্গিরা হলেন- জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী, সদস্য এছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, তৌফিকুল ইসলাম, সরওয়ার হোসেন ওরফে সাবু, সাদাত ওরফে রতন, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, বাবুল আখতার ও বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি। মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- নজিবুল ইসলাম ও চান্দু মিয়া।

এদের মধ্যে মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া ও সাখাওয়াত হোসেন চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

পিপি আরো জানান, আসামিদের উপস্থিতিতে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষীরা হলেন- মামলার বাদী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফেরদৌস ইসলাম, রওশন আরা বেগম, আবদুল হক, সাজেদা বেগম, আবদুল জলিল, মনোয়ারা বেগম, আবদুল কাদের, বাছের আলী ও মোতালেব হোসেন।




রাইজিংবিডি/রংপুর/২৮ জানুযারি ২০১৮/নজরুল মৃধা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়