মসলা গবেষণা কেন্দ্রে ১৫ মসলার ৩৪ জাত উদ্ভাবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি মসলা জাতীয় ফসলের ৩৪টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।  

এই মসলা ফসলের মধ্যে পেঁয়াজের ৫টি, মরিচের ৩টি, রসুনের ৪টি, আদার ৩টি, হলুদের ৫টি, ধনিয়ার ২টি, মেথীর ২টি, কালোজিরার ১টি, গোলমরিচের ১টি, পাতা পিয়াজের ১টি, আলুবোখারার ১টি, বিলাতী ধনিয়ার ১টি, পানের ২টি, মৌরির ২টি ও দারুচিনিরি ১টি। এছাড়া ৮৪টি উৎপাদন প্রযুক্তি এবং ১৫টি ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। যা বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারিত হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রযুক্তিসমূহ মাঠ পর্যায়ে কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছানোর জন্য বুকলেট, লিফলেট, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, ডাইরেক্টরিসহ ২২টি প্রকাশনা প্রকাশিত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য গত ৫ বছরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকসহ ৫৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কৃষক উচ্চ ফলনশীল জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করায় মসলা চাষে এ সাফল্য এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘মসলা জাতীয় ফসলের অর্জিত উৎপাদন অব্যাহত রেখে এর উপর উচ্চমাত্রার গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই কৃষি মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মসলার নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি প্রজনন বীজ উৎপাদন, কৃষক প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী খামার স্থাপন, প্রচার প্রচারণাসহ জাত সম্প্রসারণের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

সাংসদ ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  ‘ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি কোন কৃষি খামার নেই। সেখানে কৃষি খামার নির্মাণের কোন পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আসাদ/শাহনেওয়াজ